তফসিলি জাতির চাকরিতে সংরক্ষণ ২২ শতাংশ। দেশের মধ্যে ১ নম্বরে ‘বাংলার বাড়ি’। তালিবান মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ভারত। আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। শুনে নিন আজকের বিশেষ বিশেষ খবর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 24 আগস্ট 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- সিলেবাস কমছে 2022 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার, সিদ্ধান্ত পর্ষদের
আরও শুনুন: 23 আগস্ট 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- আফগানিস্তান নিয়ে সর্বদল বৈঠকের ডাক প্রধানমন্ত্রীর, অংশ নেবেন মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. অনগ্রসর শ্রেণির কল্যাণে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। বাজেট বাড়ল তফসিলি জাতির জন্য। চাকরিক্ষেত্রেও বাড়ল সংরক্ষণ। বুধবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরই তফসিলি জাতি, উপজাতির উন্নয়নে পৃথকভাবে Scheduled Caste Advisory Council তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের মধ্যে প্রথম কোনও অনগ্রসর শ্রেণির জন্য এ ধরনের বোর্ড তৈরি হয়েছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবারই সেই কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক ছিল নবান্নে। এদিন তফসিলি জাতির উন্নয়নে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে ইংরাজি মাধ্যম স্কুল তৈরি হচ্ছে তফসিলি পড়ুয়াদের জন্য। ‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে এঁদের পড়াশোনার খরচ চলছে। উচ্চশিক্ষার জন্য চালু হচ্ছে স্বল্পসুদে ঋণ। ‘কাস্ট সার্টিফিকেট’ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ সফল রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন তফসিলি জাতির বহু মহিলা। এছাড়া, এখন থেকে চাকরিক্ষেত্রে ২২ শতাংশ সংরক্ষিত করা হল পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য।
2. বাংলার মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। জাতীয় স্তরে প্রশংসিত রাজ্যের আরও একটি প্রকল্প। সূত্রের খবর, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের জন্য নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে কেন্দ্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রক।
নাগরিক পরিষেবা প্রদানে একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের বাসস্থান তৈরি করে দেওয়ার উদ্দেশে শহরাঞ্চলে চালু হয়েছিল ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পটি। দায়িত্ব পেয়েছিল পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। গ্রামাঞ্চলে এই কাজই চলছে পঞ্চায়েত দপ্তরের ‘বাংলা আবাস যোজনা’ প্রকল্পের অধীনে। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৪ লক্ষ। ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বাড়ি তৈরির খরচ ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৬৭ শতাংশ টাকাই দেয় রাজ্য সরকার। বাকিটা দিতে হয় সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিককে। দরিদ্রদের মাথার উপর ছাদ করে দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্পের লোগো এঁকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। নীল-সাদা বাড়িগুলির দেওয়ালে লেখা – ‘বাংলার বাড়ি’। কেন্দ্রের স্বীকৃতি অনুযায়ী, বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পটি সবচেয়ে এগিয়ে। তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর এই প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রের ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ প্রকল্পের তুলনায় রাজ্যের এই প্রকল্পকেই এগিয়ে রাখছেন তিনি।
বিশেষ বিশেষ খবর শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।