দিল্লির আদালতে শুনানির চলাকালীন গ্যাংওয়ার। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ৬। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুতে সাবধানবাণী মমতার। জনগণনায় জাতির উল্লেখকে সমর্থন নয়। শীর্ষ আদালতে জানাল কেন্দ্র। কাশ্মীরও আফগানিস্তান হয়নি ভারতীয় সেনার জন্য। মানবাধিকার প্রসঙ্গে মন্তব্য ব্রিটিশ সাংসদের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 23 সেপ্টেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘ভবানীপুর’ থেকে ‘ভারতে’র ডাক মমতার
আরও শুনুন: 22 সেপ্টেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- বিজেপিকে দেশছাড়া করার হুঁশিয়ারি মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. ভয়াবহ ঘটনা রাজধানী দিল্লিতে। রোহিনী কোর্টে গুলিবৃষ্টি করল কুখ্যাত গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগির বিরোধী গ্যাং। এই ঘটনায় গোগি-সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রোহিনী কোর্টের ২০৭ নম্বর কক্ষে শুনানি চলছিল গ্যাংস্টার জিতেন্দ্রর একটি মামলার। তখনই সেখানে বিরোধী গ্যাংয়ের দুই সদস্য আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। উকিল সেজে কোর্টে ঢুকে পড়েছিল হামলাকারীরা। তাদের গুলিতে আহত হয়ে ঢলে পড়ে জিতেন্দ্র। এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ফলে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আরও বেশ কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গেই পালটা হামলা চালান আদালত কক্ষে মজুত পুলিশকর্মীরা। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ছ’জনের। দিল্লির অন্ধকার জগতের অন্যতম নাম জিতেন্দ্র। অপহরণ, খুন-সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে নিহত গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে।
কয়েকদিন আগেই গ্যাংস্টার জিতেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। সূত্রের খবর, কোর্ট চত্বরেই জিতেন্দ্রকে খতম করার ছক কষে বিরোধী টিল্লু গ্যাং। এলাকা দখল নিয়ে ওই দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ ছিল জিতেন্দ্রর দলের। সেইমতো এদিন হামলা চালায় তারা। তবে দিল্লি পুলিশের দাবি, গ্যাংওয়ার নয়, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে দুই আততায়ীর।
2. অবিরাম বর্ষণে জলমগ্ন কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। তা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা অব্যাহত। তবে বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে তাঁর দাবি, আগের মতো জল জমার সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় না কলকাতাবাসীকে।
নিম্নচাপের সঙ্গে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর দাপটে অবিরাম বৃষ্টির সাক্ষী কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। ফলে জলের তলায় শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনাও নতুন নয়। দমদম, খড়দহ, আগরপাড়া, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের। সেই ঘটনাকেই হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। বিদ্যুৎ দপ্তরের উদাসীনতায় এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে বলেই দাবি। শুক্রবার ভবানীপুরের ভোটপ্রচারে সে প্রসঙ্গে বিরোধীদের পালটা জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “বাংলা নৌকার মতো। পাশাপাশি রাজ্যে বৃষ্টি হলে এখানে জল চলে আসে। আগে বৃষ্টি হলে ৭-১০ দিন জল থাকত। এখন অনেক পাম্পিং স্টেশন করা হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে সতর্ক থাকুন। জল জমলে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দেবেন না।”
নন্দীগ্রামের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে এদিনও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ভবানীপুর থেকে ঝুঁকি নিয়ে গিয়েছিলাম নন্দীগ্রামে। বুঝতে পারিনি নন্দীগগ্রামে চক্রান্ত হবে। নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপি হয়েছে। পায়ে আঘাত নিয়েই প্রচার করেছি। সর্বশক্তি দিয়ে তৃণমূলকে হারাতে পারেনি।”
বিশেষ বিশেষ খবর শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।