উপনির্বাচনের প্রচারে বিজেপিকে দেশছাড়া করার হুঁশিয়ারি মমতার। করোনায় মৃতদের পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের। পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি। সপ্তাহান্তে আরও দুর্যোগের আশঙ্কা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 20 সেপ্টেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- ভবানীপুরে শীতলা মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা, সঙ্গী অভিষেক-পিকে
বিস্তারিত খবর:
1. ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন। তার আগে বুধবার একবালপুরে নির্বাচনী সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বিজেপিকে দেশ ছাড়া করার ডাক দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, দিল্লিই মূল লক্ষ্য। মমতার কথায়, “আপনাদের একটা ভোট দিল্লির দিকে এগিয়ে দেবে আমাদের।”
এদিন পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী একবালপুরে নির্বাচনী সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় ছিলেন ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। এদিন সভার শুরুতেই কোভিড থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাদের উপর হামলা, এমন একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতারা গেলেই মারধর করা হচ্ছে। কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল যাচ্ছে জানতে পারলেই ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে।” এরপর তৃণমূল সুপ্রিমো হুংকার ছাড়েন, “তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে।” ঘুরিয়ে বিজেপিকে দেশ ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শুধু ত্রিপুরাই নয়, যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশেও নির্বাচনী লড়াই করার ইঙ্গিত দেন মমতা।
ভবানীপুরে জিতেই ৬বার সাংসদ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’বার বিধায়ক হয়েছেন। কেন ভবানীপুর কেন্দ্র এত পছন্দ তৃণমূল নেত্রীর? চেতলায় ভোটপ্রচারে এসে সে কথাও জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, তাঁর মায়ের অনুরোধেই প্রথামবার ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি এখানেই বড় হয়েছি। মা একদিন বলেছিলেন, তুই এখানে একবার দাঁড়াতে পারিস তো। আমি জানতে চেয়েছিলাম কেন? মা বলেছিল, তাহলে আমি তোকে একটা ভোট দিতে পারি। আমারও তো আমার মেয়েকে ভোট দিতে ইচ্ছে করে।”
2. কেন্দ্র নয়। করোনায় মৃতদের পরিবারকে অনুদান দেবে রাজ্য সরকারগুলি। অনুদানের অর্থ দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে। সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া এক হলফনামায় এমনটাই জানাল কেন্দ্র।
করোনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং সঠিক পলিসি মেনে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দু’টি পৃথক মামলা করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত জুন মাসেই শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে সাফ জানিয়ে দেয়, করোনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতেই হবে। এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে গাইডলাইন তৈরি করার আদেশও দেয় শীর্ষ আদালত।করোনায় মৃতদের ক্ষেত্রে ঠিক কত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ, কোন পদ্ধতিতে তা দেওয়া হবে, সবটাই হলফনামা আকারে জানানোর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
বুধবার কেন্দ্র সেই হলফনামা জমা দিয়েছে। যাতে জানানো হয়েছে, ২০২০’র জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষের। মৃতদের পরিবারকে রাজ্যগুলির বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণের টাকা। শুধু এতদিন যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারই নয়। এরপরে কারও করোনায় মৃত্যু হলে, তাঁদের পরিবারও পাবে ক্ষতিপূরণ। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল (NDRF)-এর মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হবে। আর সেই টাকাটা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে, সেজন্য ডেথ সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে।
বিশেষ বিশেষ খবর শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।