রোজ দুটি করে উড়ানকে কাবুল থেকে দিল্লি আসার অনুমতি তালিবানের। রবিবার ফিরছেন ৩০০ জন। তালিবানি সন্ত্রাসের মাঝে নয়া প্রচার কৌশল বিজেপির। শহরে আফগান ভাইবোনদের রাখি পরালেন তৃণমূল নেত্রী কস্তুরী চৌধুরী। বাংলাভাগের প্রসঙ্গ তুলে কোণঠাসা দিলীপ ঘোষ। শুনে নিন আজকের বিশেষ বিশেষ খবর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন:
বিস্তারিত খবর:
1. রবিবার সকালে বায়ুসেনার বিমানে আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরলেন ১৯৪ জন। এঁদের মধ্যে দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগান সাংসদও রয়েছেন বলে খবর। দিল্লির হিণ্ডন এয়ারবেসে নামানো হয়েছে তাঁদের। দিল্লি সূত্রে খবর, আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে রোজ কাবুল থেকে দুটি করে উড়ান দিল্লিতে আসার অনুমতি দিয়েছে তালিবানরা। রবিবারের মধ্যেই আফগানিস্তানে আটকে থাকা ৩০০ ভারতীয়কে ফেরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এঁরা সকলেই আফগানিস্তানে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। এছাড়াও দেশে ফিরতে ইচ্ছুক দীর্ঘদিনের আফগানিস্তান প্রবাসী অনেক ভারতীয়ও।
তালিবান রাজত্ব শুরু হওয়ার পরই দেশে ফেরানো হয়েছে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত-সহ দূতাবাসের সমস্ত কর্মীকে। কিন্তু বিভিন্ন আফগান শহরে আটকে পড়েছেন প্রায় হাজারখানেক ভারতীয়। যেমন কাবুলের এক গুরুদ্বারে আটকে রয়েছেন প্রায় ২০০ জন শিখ এবং হিন্দু। যদিও ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত তালিবান বুধবার ওই গুরুদ্বারের প্রধানের একটি ভিডিও পোস্ট করে। তালিবানের তরফে তাঁদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই শিখ গ্রন্থী। এদিকে তালিবানের রাজনৈতিক দপ্তর থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে দূতাবাস খালি না করার বার্তা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে ভরসা করতে রাজি হয়নি দিল্লি। আপাতত আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফেরানোই সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও।
2. কোভিড, পেগাসাস, কৃষি আইন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে কোণঠাসা কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে যেন গেরুয়া শিবিরকে নিস্তার পাওয়ার দিশা দেখাচ্ছে আফগানভূমে তালিবান হানা।
তালিবানি অত্যাচারকে ভারতীয়রা কখনোই সমর্থন করেনি। গত কয়েকদিনের পরিস্থিতি সেই মনোভাবে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে। এবার সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতারা বলা শুরু করেছেন, মোদির মতো শক্তিশালী নেতা না থাকলে ভারতের অবস্থাও ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের মতোই হবে। ভোপাল এবং বিহারের দুই বিজেপি নেতা প্রকাশ্যেই পেট্রলের দাম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আফগানিস্তানে চলে যাওয়ার নিদান দিয়েছেন।
তালিবান নিয়ে এখনও আন্তর্জাতিক মহলে অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি ভারত। কিন্তু দেশের অন্দরে নাম না করে এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে রীতিমতো তুলোধোনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ কখনও আস্থা তথা বিশ্বাসকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে না। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও মন্তব্য করেছেন, “নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই ভারত শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত।”
রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা আগের তুলনায় জনপ্রিয়তা বাড়ালেও এখনও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা নরেন্দ্র মোদিই। কিন্তু, এক সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষা অনুযায়ী, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর একধাক্কায় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা নেমে গিয়েছে অনেকখানি। তাছাড়া সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনগুলিতেও শুধু মোদি ম্যাজিকে তেমন কাজ হয়নি। অথচ, সামনেই উত্তরপ্রদেশ-সহ কয়েকটি রাজ্যের ভোট। তাই এই মুহূর্তে মোদি ফ্যাক্টরকে চাঙ্গা করতে, শান্তিপ্রিয় ভারতবাসীর তালিবান ভীতিকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি, বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিশেষ বিশেষ খবর শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।