গুরু নানকের জন্মদিনে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করল কেন্দ্র। সরকারি সিলমোহরের অপেক্ষায় অনড় কৃষকরা। তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বরুণ গান্ধী। পৌষমেলার মাঠে বৃক্ষরোপণের ফলে পৌষমেলা বন্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন আশ্রমিকরা। রেলপুলিশে প্রথম মহিলা ওসির নিয়োগ। সব ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা এবি ডিভিলিয়ার্সের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 নভেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- নুসরত জাহান ও নিখিল জৈনের বিয়ে খারিজ করল আদালত
বিস্তারিত খবর:
1. গুরু নানকের জন্মদিনে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি। সাফল্য পেল কৃষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই এই তিনটি বিতর্কিত আইন প্রত্যাহারের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। যদিও এদিনের বক্তব্যে মোদি এ কথা বোঝাতে কসুর করেননি যে আসলে এই আইন দেশের কৃষকদের জন্য উপকারী। সামান্য কিছু কৃষকের জন্য তাঁর সেই মহান উদ্দেশ্য পূরণ হল না বলে পরোক্ষে দোষারোপও করেছেন তিনি।
আসলে, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এই কৃষক বিক্ষোভ মোদি সরকারের জন্য রীতিমতো অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই বিক্ষোভ প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা হলেও পিছু হটেননি কৃষকরা। উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের ভোটের আগে আইন প্রত্যাহার না হলে, তার প্রভাব যে ভোটবাক্সে পড়বে, তা ভালই বুঝতে পারছিলেন মোদি। তবে কৃষকদের যৌথ সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়ে দিয়েছে, শুধু মৌখিক আশ্বাস যথেষ্ট নয়। যতদিন না সরকার সংসদে বিল এনে সরকারিভাবে আইন প্রত্যাহার করছে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলনস্থল ছাড়বেন না। শুধু তাই নয়, কৃষি আইন প্রত্যাহারের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি কৃষকদের রয়েছে। সেগুলিও মানতে হবে সরকারকে।
কৃষকদের সংগ্রামকে অভিনন্দন জানিয়ে এদিন ফের কলম ধরেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিতা লেখা ছাড়াও টুইট করে মমতা বলেছেন, “এতদিন যাঁরা বিজেপির নিষ্ঠুরতার সামনে মাথা নোয়াননি, এই জয় তাঁদের। প্রত্যেক লড়াকু কৃষককে আমার হার্দিক অভিনন্দন।”
2. বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফেরার পর এবার রাজ্যের বাইরে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে বাংলার শাসকদল। উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরা থেকে পশ্চিমে গোয়া, রাজধানী দিল্লি – তৃণমূলের রাজনৈতিক রথের চাকা চলছে গড়গড়িয়ে। আর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভিন রাজ্যে সফর মানেই নতুন কিছু প্রাপ্তি। পুজোর পর গোয়া সফর সেরে ফিরে আবার আগামী সপ্তাহে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে মমতার উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন খোদ গান্ধী পরিবারের সদস্য! এক্ষেত্রে নাম উঠে আসছে বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধীর।
গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয়ের ঠিক বিপরীত পথে হাঁটা অভ্যাস ইন্দিরার কনিষ্ঠ পুত্র সঞ্জয় গান্ধীর ছেলে বরুণের। মা মেনকা গান্ধীকে দেখে তাঁর গেরুয়া শিবিরের প্রতি টান এবং সেই পথেই নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারকে চালিত করা। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের পিলভিটের সাংসদ তিনি। কিন্তু সম্প্রতি বরুণ গান্ধীর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক বিশেষ ভাল নয়। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন মা এবং ছেলে। ফলে নতুন করে রাজনৈতিক জমি খুঁজছেন ইন্দিরার পৌত্র। সেক্ষেত্রে পরিবারের রাজনৈতিক বিশ্বাস মেনে কংগ্রেস শিবিরে ভিড়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে কার্যত অসম্ভব। আর সেখানেই বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে তৃণমূলের নাম। আপাতত রাজধানীর রাজনীতির অলিন্দে জল্পনা তুঙ্গে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।