তৃণমূলে বাবুল সুপ্রিয়। ইস্তফা দিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। টিকাকরণে বিশ্বরেকর্ড ভারতের। কংগ্রেসকে কটাক্ষ মোদির। ২০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন সোনু। দাবি আয়কর দপ্তরের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 16 সেপ্টেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- পুজোর আগেই প্রাথমিক টেট-এর ফলপ্রকাশের সম্ভাবনা
বিস্তারিত খবর:
1. প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় যোগ দিলেন তৃণমূলে। শনিবার কলকাতার যোগদান অনুষ্ঠানে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূল সূত্রে খবর, সাংসদ পদও ছাড়তে পারেন তিনি। অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে রাজ্যসভায় যেতে পারেন বাবুল।
২০১৪ সালে আসানসোল থেকে প্রথমবার সাংসদ হন বাবুল সুপ্রিয়। হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। ২০১৯ সালেও বিপুল ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলেন। মন্ত্রিত্বও পেয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রদবদল হয়। সেই সময় মন্ত্রিত্ব খোয়ান বাবুল। এর পরে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এর পর ছেড়েছিলেন রাজনীতিও।
ফেসবুক পোস্ট করে বিজেপি ছেড়েছিলেন বাবুল। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। সেই সময় বাবুল জানিয়েছিলেন, সাংসদ হিসেবে আসানসোলের উন্নতির কাজ চালিয়ে যাবেন। ভবানীপুরে ভোটপ্রচারের তালিকায় নাম থাকলেও তিনি প্রচারে আসবেন না বলেও জানিয়েছিলেন। এবার সেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনের আগেই দলবদল করলেন বাবুল।
বাবুলের এই ঘোষণায় নতুন একটা সম্ভাবনা খুলে গেল। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে রাজ্যসভার সাংসদ করা হতে পারে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।
দলে যোগ দিয়ে বাবুল জানিয়েছেন, “বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সেই সুযোগ দিলেন। মন থেকে রাজনীতি ছেড়েছিলাম। হঠাৎ একটা সুযোগ পেলাম। সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।’
2. দলে অন্তর্কলহের জের। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। শনিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন তিনি। বিকালে রাজভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন। তাঁর সঙ্গে গোটা মন্ত্রিসভাও পদত্যাগ করেছে। খুব শীঘ্রই কংগ্রেসের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেন পাঞ্জাবের ক্যাপ্টেন।
পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্তর্কলহ দীর্ঘদিনের। সেই ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে বনিবনা হয়নি মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরের। সিধুকে প্রথমে নিজের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিলেও, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেননি ক্যাপ্টেন। সেসময় পাঞ্জাব কংগ্রেসে একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন অমরিন্দর। এমনকী, তাঁর দাপটে সিধুকে একটা সময় পর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফাও দিতে হয়।
সময় বদলেছে। পাঞ্জাব কংগ্রেসে ক্রমশ গুরুত্ব বেড়েছে সিধুর। পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয়তা কমেছে ক্যাপ্টেনের। সিধু দলের অন্দরে থেকেই লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকে। মাসখানেক আগেই সুনীল জাখরকে সরিয়ে সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে সিধুকে আনে এআইসিসি। তখনই ললাট-লিখন স্পষ্ট হয়ে যায়। দলে ক্রমশ ব্রাত্য হতে থাকা ক্যাপ্টেনকে নাকি সেই সময়ই ইস্তফা দিতে বলেছিল কংগ্রেস হাই কম্যান্ড।
শেষ পর্যন্ত একপ্রকার বাধ্য হয়েই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন পাঞ্জাবের ‘ক্যাপ্টেন’। পাঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন সুনীল জাখর, প্রতাপ সিং বাজওয়া এবং রবনীত সিং বিট্টো।
বিশেষ বিশেষ খবর শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।