প্রাথমিক শিক্ষক পদে প্রচুর নিয়োগের সম্ভাবনা। শিল্পে উন্নয়নের লক্ষ্যে একাধিক বড় সিদ্ধান্ত। চলতি সপ্তাহ থেকে বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা। উত্তরপ্রদেশ বিজ্ঞাপন বিতর্কে RTI দায়ের তৃণমূল নেতার। স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের। পেগাসাস কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতে নারাজ কেন্দ্র।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন ‘এবার টার্গেট শিল্প’। সামাজিক কল্যাণের পর এবার কর্মসংস্থানে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যপূরণ নিয়ে এদিন বৈঠকে বসেছিল রাজ্য ক্যাবিনেট। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় এদিনের বৈঠকে। ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এদিন বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উত্তর ২৪ পরগনা এবং মালদহ ডিভিশনের জন্য নতুন ৩১৭৯ টি প্রাথমিক শিক্ষক পদ তৈরির পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয়েছে পুরনো আরও ৩১২৫টি পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেরও।
পাশপাশি, মাঝারি শিল্পতালুক তৈরির ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করল রাজ্য সরকার। এখন থেকে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা এবং কলকাতা পুরসভা এলাকায় ৫ একর জমি থাকলেই তৈরি করা যাবে শিল্পতালুক। তাতে তৈরি করা যাবে গুদাম বা লজিস্টিক হাব, কোল্ড স্টোরেজ, পোলট্রি বা ফিশারিও। বদল করা হয়েছে ইনসেনটিভ প্রক্রিয়াতেও। বদল এল বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার তৈরির নিয়মেও। পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতেও নেওয়া হয় নয়া পদক্ষেপ। সব মিলিয়ে, শিল্পে বিনিয়োগ আনতে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে রাজ্য সরকার।
2. আসন্ন ভবানীপুরে উপনির্বাচন। কোভিড পরিস্থিতিতে বড় জনসভা বাতিল। বদলে ছোট ছোট স্ট্রিট কর্নার এবং বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জনসংযোগে জোর দিচ্ছে তৃণমূল। এবার পথে নেমে জনসংযোগ সারলেন খোদ তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই আট ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের পাঁচ হেভিওয়েট নেতা। ঠিক হয়েছে নিয়ম করে সকালের দিকে ভবানীপুরের পাড়া ঘুরবেন তাঁরা। বিকেলের দিকে পরিক্রমা সারবেন পাঁচজন করে মহিলাদের এক-একটি দল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেওয়া হবে পরিস্থিতির খোঁজখবর। দলের তরফ থেকে এটিই প্রাথমিক প্রচার পরিকল্পনা তৃণমূলের। আর এই পরিকল্পনায় এবার অংশ নিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন থেকে ফেরার পথে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে হাজির হন মমতা। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। সেখানে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী। অনেকের হাত ধরে কুশল বিনিময়ও করেন। সকলের সঙ্গে ঘরোয়া আড্ডা চলে বেশ কিছুক্ষণ। ২৫-এর পল্লি দুর্গা পুজোর পাড়া থেকে ১৬ আন্না মসজিদ হেঁটে ঘুরে বেড়ান তিনি। সৌজন্য সাক্ষাৎ সারেন ইমামদের সঙ্গে। এদিন তিনি আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন কেন ‘ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে’ তিনিই।
বিশেষ বিশেষ খবর শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।