মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ এথিক্স কমিটির। সাংসদ পদ খারিজের পক্ষে ৬ ভোট, বিপক্ষে ৪ বিরোধী সদস্য। নিয়ম মেনেই ফের ইডি দপ্তরে হাজিরা অভিষেকের। ৬ হাজার পাতার উত্তর জমা দিলেন তদন্তকারীদের। আপাতত কম্যান্ডেই চিকিৎসা ধৃত জ্যোতিপ্রিয়র। লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই প্রার্থী নিয়ে বিতর্ক। এসএসসি-র সব মামলা ফিরল হাই কোর্টে। ‘দাগি’ সাংসদ-বিধায়কদের নির্বাচনে লড়া নিয়ে প্রশ্ন। বিশেষ বেঞ্চে শুনানির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাবে সিলমোহর এথিক্স কমিটির। এদিন ভোটাভুটিতে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের করার প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে ৬টি ভোট। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন চার বিরোধী সাংসদ। প্রত্যাশামতোই বিজেপি নেতা ও পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের স্ত্রী প্রণীত কৌর কংগ্রেস সাংসদ হলেও ভোট দিয়েছেন মহুয়ার বিপক্ষেই। এদিকে কংগ্রেস সাংসদ নরেশ উত্তম কুমার রেড্ডি নিজের রাজ্য তেলেঙ্গানায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন, ফলে তিনি এদিনের ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারেননি। শুক্রবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে এই প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে। সম্ভবত ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেই সময় এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি করতে পারেন স্পিকার। যেহেতু বিজেপি সাংসদদের সংখ্যাই বেশি, ফলে সেখানেও মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের পক্ষেই বেশি ভোট পড়ার সম্ভাবনা। সব মিলিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ইস্যুতে চাপ বাড়ছে মহুয়া মৈত্রের। তবে এদিন মহুয়া প্রসঙ্গে নীরবতা ভেঙেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে তাঁর সাফ কথা, “সরকারের বিরুদ্ধে কেউ লড়লে, সরকারকে প্রশ্ন করলে, আদানি ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করলে এভাবেই তাঁর সাংসদ পদ বাতিল করা হচ্ছে।” এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান নিজেই যখন রিপোর্টে লিখছেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত প্রয়োজন, সেখানে সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করা হয় কীভাবে- প্রশ্ন অভিষেকের। তবে দলীয় সাংসদের পাশে দাঁড়ালেও এই লড়াই যে মহুয়াকে একাই লড়তে হবে, এদিন সেই বার্তাই দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
2. নিয়ম মেনেই বৃহস্পতিবার ইডি দপ্তরে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার ১ ঘণ্টারও কম সময়ে সিজিও কমপ্লেক্স ছাড়লেন নেতা। এদিন কিছু নথি জমা দিতে এসেছিলেন অভিষেক। দুপুর ১২টা নাগাদ ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, ৬ হাজার পাতার উত্তর দিয়েছেন তদন্তকারীদের। অভিষেক আরও বলেন, চাইলে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দেখিয়ে হাজিরা এড়াতে পারতেন তিনি। কিন্তু সে পথে হাঁটেননি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। বরং সময়মতো সশরীরে সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে তাঁর বক্তব্য, “এই নথি দেখে যদি মনে করেন আবার ডাকবেন, জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে আবার আসব। শুধু নথি পাঠিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি। তদন্ত এড়াতে কোনও দিন কোনও অজুহাত খুঁজিনি।” এর আগেও একাধিকবার ইডির তলবে সাড়া দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।