জীবন থাকতে CAA কার্যকর নয়। কেন্দ্রকে বিঁধে স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। রাজনীতিতে ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা। ডাক রাজনৈতিক ভাবে লড়াইয়ের। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করলে দলে জায়গা নেই। নদিয়ার জনসভা থেকে কড়া বার্তা নেতাদের। রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের। ভোটার সংখ্যা কমায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। নিউজিল্যান্ডকে ধরাশায়ী করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 7 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণে সায় শীর্ষ আদালতের
বিস্তারিত খবর:
1. অ-মুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রদান ও ঘুরপথে সিএএ বলবতের কেন্দ্রীয় পদক্ষেপ নিয়ে এই মুহূর্তে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিলেন, জীবন থাকতে বাংলায় CAA কার্যকর হতে দেবেন না তিনি। এই নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে মমতার অভিযোগ,’ভোট এলেই ওরা CAA নিয়ে বিভ্রান্ত করে।’ এদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখ খোলার পরই ঘুরপথে বিতর্কিত এই আইন কার্যকর করার পথে বড়সড় পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার জেলাশাসক এবং মুখ্যসচিবদের দেওয়া হয়েছে অ-মুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব প্রদানের অধিকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দেশের মোট ৩১টি জেলার জেলাশাসক এবং ৯টি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এই অধিকার দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভিনদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে জেলাশাসক এবং মুখ্যসচিবরাই তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ঘুরপথে সিএএ কার্যকর করারই পন্থা বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই মুখ খুলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভোট এলেই ওরা CAA নিয়ে বিভ্রান্ত করে। মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করে। বাংলা ভাগের চেষ্টা করে। গুজরাটের ভোটের আগে বলছে বাংলাতেও CAA করব। CAA মানে তো নাগরিকত্ব, আর মতুয়ারা তো সবকিছুই পাচ্ছেন। সবরকম অধিকারই তো আপনাদের আছে। কেউ আপনাদের নাগরিকত্ব কাড়তে পারবে না।” এদিন তিনি সাফ জানিয়ে দেন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যাবে না। আর তা করা হলে তিনি জীবন দিয়েই তা রোখার চেষ্টা করবেন।
2. ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। লড়াই হোক রাজনৈতিক ভাবে। আর সেই লড়াইয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নদিয়ার সভা থেকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিজেপির উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “বিজেপি এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছেন কেন? কেন দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে? রাজনৈতিকভাবে লড়াই করো। আমি রাজনৈতিকভাবে লড়তে প্রস্তুত। গায়ের জোরে যারা নির্বাচন করে তারা ঠিক করে না।” দলীয় কর্মীদের ভুলত্রুটি স্বীকার করে নিয়েই মমতা জানান, “একটা-দুটো লোক ভুল করতে পারে। তার জন্য সবাই খারাপ হয়ে যায়? আমি চাই যারা ভুল ত্রুটি করবে তারা শুধরে নেবে।” পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “তুমি নিজের নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা তুলছো। আমি জানতে চাই ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে? ইচ্ছা করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে কেউ কাজ না করতে পারে তাই আধিকারিকদের ভয় দেখাচ্ছে। সহকর্মীদের ডেকে পাঠাচ্ছে। আপনার বাড়িতে ইডি, সিবিআই গেলে মানসম্মান নষ্ট হবে না? এরা তৃণমূলের মানসম্মান নষ্ট করতে চাইছে।” ব্যক্তিগত আক্রমণের রাস্তা ছেড়ে এদিন বিজেপির উদ্দেশে রাজনৈতিক ভাবে লড়াইয়ের বার্তাই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।