নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়াল টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের নাম। কুন্তলের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে তলব ইডির। হঠাৎ করেই রাজভবনে হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিএ নিয়ে ধর্মঘটে কড়া অবস্থান রাজ্যের। কাজে যোগ না দিলে সার্ভিস ব্রেক, কাটা যাবে বেতনও। অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে গিয়ে বিপাকে ইডি। আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত কুন্তল, তাপস, নীলাদ্রির। মদ কেলেঙ্কারিতে ফের গ্রেপ্তার মণীশ সিসোদিয়া।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 7 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- মিলল হাসপাতালের ছাড়পত্র, অনুব্রতকে দিল্লিতেই নিয়ে গেল ইডি
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার নাম জড়াল অভিনেতার। অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্কের নথি দেখে টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে তলব করেছিল ইডি। আর তলব পেয়েই তড়িঘড়ি সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে হাজিরা দিলেন অভিনেতা তথা প্রাক্তন বিজেপি সদস্য বনি। বৃহস্পতিবার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করে ইডি। জেরায় কুন্তলের সঙ্গে টাকা লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন অভিনেতা। এমনকি ধৃত যুবনেতার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগতভাবে ভাল সম্পর্ক ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিনেতার দাবি, অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সুবাদে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তাঁর কথায় একাধিক ইভেন্ট করে দেন বনি। কিন্তু নগদে টাকা নেওয়ার বদলে একটি গাড়ি কেনা বাবদে তিনি টাকা নিয়েছিলেন, এমনটাই দাবি অভিনেতার। ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছিল বলে ইডিকে জানিয়েছেন বনি। ২০১৭ সালে তাঁর গাড়ি কেনার সময় সংস্থার অ্যাকাউন্টেই টাকা দেন কুন্তল, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন বনি সেনগুপ্ত। বনিকে দিয়ে সিনেমা করানোর জন্যও কুন্তল ঘোষ টাকা দিয়েছিলেন বলে ইডির হাতে তথ্য এসেছিল। তবে অভিনেতার দাবি, সিনেমার কথা হয়েছিল, তবে সেই প্রজেক্ট কোনও কারণে হয়নি। তবে জেরার পর ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে আক্ষেপের সুরেই তিনি বলেন, কুন্তল ঘোষ নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত, তা জানলে টাকা নিতেন না। কুন্তলের ডাকে কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দিয়েছিলেন বনির প্রেমিকা তথা তৃণমূলের তারকা প্রচারক কৌশানি মুখোপাধ্যায়ও। তবে বনির আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না, দাবি করে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন কৌশানি।
2. ফের রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। সূত্রের খবর, সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কী বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও প্রেস নোট রাজভবন দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর তরফেও বিশেষ কিছুই জানা যায়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিধানসভায় গিয়ে মমতা জানান, হোলির শুভেচ্ছা জানাতে তিনি রাজভবনে গিয়েছিলেন।
তবে রাজ্যের হাজার রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝে শুধুই কি হোলির শুভেচ্ছা জানাতে রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর অপসারণের পর সেই জায়গায় আরও তিনজনের নাম পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। কিন্তু তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সে বিষয়েই আলোচনা করেছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। এখনও পর্যন্ত রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকার কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর ভাল সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এই অবস্থায় রাজভবনে গিয়ে হোলির শুভেচ্ছা জানানো আরও একবার সেই সুসম্পর্কেরই ইঙ্গিত দিল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।