পঞ্চায়েতে পুনর্নিবাচন সোমবারই। বুথে বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৪ জন জওয়ান, সিদ্ধান্ত কমিশনের। আচমকাই দিল্লি সফরে রাজ্যপাল। ভোটের পরেও দিকে দিকে অশান্তি। বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষে নন্দকুমারে তুলকালাম, রণক্ষেত্র বেলডাঙা, চাকুলিয়া। রবিবার কমিশনের সামনে হাতে জুতো নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির, মুখ্যমন্ত্রী-কমিশনারকে একযোগে কটূক্তি। ‘স্পর্শকাতর বুথের তালিকাই পাইনি’, অশান্তির পর সাফাই বিএসএফ অধিকর্তার। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 8 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- পঞ্চায়েতে মৃত ১৬, রক্ত ঝরার দায় বিরোধীদেরই, বলল তৃণমূল
বিস্তারিত খবর:
1. সোমবারই রাজ্যের বেশ কিছুসংখ্যক বুথে হবে পুনর্নিবাচন। বুথে বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। রবিবারই এ কথা জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ব্যাপক হিংসা, অশান্তি, রক্তপাতের সাক্ষী থেকেছে তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুধু ভোটের দিনেই প্রাণ গিয়েছে অন্তত ১৯ জনের। মৃতদের মধ্যে যেমন আছেন শাসকদলের কর্মীরা, তেমনই আছেন বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক কর্মীরাও। বেশ কয়েকটি বুথে ভোটপ্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কোথাও ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরেও ফেলে দেওয়া হয়। আর এই আবাহেই জোরালো হয়েছিল পুনর্নিবাচনের দাবি। এমনকী খোদ শাসকদলও কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই দাবি তুলেছিল। শনিবারই কমিশন জানিয়েছিল যে, প্রয়োজন পড়লে পুনর্নিবাচন হবে। বিভিন্ন জেলা থেকে স্ক্রুটিনির রিপোর্টও ক্রমশ আসছে কমিশনের হাতে। সেইমতো রবিবার জানিয়ে দেওয়া হল, সোমবারই পুনরায় নির্বাচন হবে বিভিন্ন জেলার প্রায় শতাধিক বুথে। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩৬টি ভোটকেন্দ্র। পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট হবে। এবং বুথ পিছু কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৪ জন করে জওয়ান থাকবেন নিরাপত্তার দায়িত্বে। পাশাপাশি রবিবার পঞ্চায়েতের ভোটদানের হারও ঘোষণা করল কমিশন। শনিবার এই হার ছিল প্রায় ৮১ শতাংশ। শনিবারই শাসকদল জানিয়েছিল, কয়েকটি জায়গায় অশান্তি হলেও রাজ্যের সর্বত্র নির্বিগ্নে উৎসবের মেজাজেই ভোট দিয়েছেন মানুষ। ভোটদানের শতকরা হার যেন সেই ইঙ্গিতই দিল।
2. পঞ্চায়েত ভোটের পরদিনই আচমকা দিল্লি সফর রাজ্যপালের। রাজভবন সূত্রের খবর, সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই জেলায়-জেলায় ঘুরেছেন তিনি। হিংসায় আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে নিজে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁর কথায়, গ্রাউন্ড জিরোর রিপোর্টও তৈরি করেছেন নিজেই। মনে করা হচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে সেই রিপোর্ট দিতেই হঠাৎ দিল্লি সফর রাজ্যপালের।
পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে অশান্তি। প্রাণ গিয়েছে বহু। অশান্তির ঘটনায় প্রথম থেকেই সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। নিজে ছুটে গিয়েছেন অশান্তিপ্রবণ এলাকায়। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ভোটের সকালেও একইরকম সক্রিয় ছিলেন রাজ্যপাল। তারপরেও ভোটের দিন রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে ১৯ জনের। এমনকি নির্বাচনের পরও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি চলছে। সিভি আনন্দ বোস আগেই জানিয়েছিলেন তিনি ‘গ্রাউন্ড জিরোর রাজ্যপাল’। সেইমতো রিপোর্ট তৈরি করে মুখবন্ধ খামে কমিশনে জমা করেছিলেন। তাতে অবশ্য কমিশন কর্ণপাত করেনি বলেই জানা গিয়েছিল। ভোট শেষে সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের যা করণীয় তাই করব। এরপরই তাঁর দিল্লি রওনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।