ঢাকায় বৈঠক ভারত-বাংলাদেশ বিদেশসচিবের। ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত, নিশ্চিত করতে হবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা। বাংলাদেশে নিয়ে সম্প্রীতির বার্তা মমতার। মুখ খুললেন বিএনপির হুমকি প্রসঙ্গেও। সংসদে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ। জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ‘অনাস্থা’র প্রস্তাব ইন্ডিয়া জোটের। রাশিয়াতে রাজনৈতিক আশ্রয় সিরিয়ার গদিচ্যুত প্রেসিডেন্টের। অ্যাডিলেডের উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার ফল। সিরাজের ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আইসিসি-র।
হেডলাইন:
আরও শুনুন:
বিস্তারিত খবর:
1. বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারলেন দুই দেশের বিদেশসচিব। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকে দু’পক্ষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত, খোলামেলা এবং গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলেই জানান ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘ভারত চায়, আগের মতোই বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ইতিবাচক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকুক। উভয় দেশ যেন সমান সুযোগ-সুবিধা পায়।’ এদিনের বৈঠকে উঠেছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গও। এ প্রসঙ্গে বিক্রম মিস্রি বলেন, “সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও কূটনৈতিক পরিকাঠামোয় হামলা অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছি।” পুরো বিষয়ে বাংলাদেশের থেকে সদর্থক পদক্ষেপ আশা করে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনকে সে কথা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন বিক্রম মিস্রি।
2. অস্থিরতার আবহেই বাংলাদেশ নিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে সংখ্যালঘু অত্যাচার চলছে সেটাকে ভালো চোখে দেখছি না। দাঙ্গা কোনও হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান করে না। করে কিছু সমাজ বিরোধী, তারা সমাজের বোঝা। আমরা যেন এমন মন্তব্য না করি, তাতে সমাজে তার প্রভাব পড়ে, কারও ক্ষতি হয়। এটা কেন্দ্রের বিষয়। তাদের কথা আমরা শুনব।’ রাজ্যের বিধায়করা যাতে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য না করেন সে ব্যাপারে সতর্ক করেন তিনি। সাধারণ মানুষদেরও বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেঁফাস মন্তব্য প্রসঙ্গে সতর্ক করেন বিরোধী দলের বিধায়কদেরও। এর আগে বাংলাদেশের বিএনপি দলের পক্ষ থেকে প্রচ্ছন্ন যুদ্ধ-হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সে প্রসঙ্গে মুখ খুলে মমতা বলেন, ‘যাঁরা বলছেন বাংলা-বিহার-ওড়িশা দখল করবেন, তাঁরা ভালো থাকবেন। আপনার সেই ক্ষমতাও নেই, আর ভাববার কোনও কারণ নেই যে আমরা বসে ললিপপ খাব। আমরা যথেষ্ট সক্রিয় এবং যথেষ্ট ধৈর্যের পরীক্ষা দিই। আমরা সবাই সবাইকে রক্ষা করব।” এদিকে বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নিক। হস্তক্ষেপ করুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। এই দাবিতে রাজ্যপালের কাছে জমা দেওয়া হয় স্মারকলিপিও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।