নিয়োগ দুর্নীতির ‘আঁতুড়ঘর’ SSC অফিস। হাই কোর্টে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের। আট হাজারের বেশি ওএমআর শিটে কারচুপির দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন সাকেত গোখলের। ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল।সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের স্কলারশিপে কোপ মোদি সরকারের। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই বন্ধ হচ্ছে মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ। চোটের জেরে বাংলাদেশ টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন রবীন্দ্র জাদেজা ও মহম্মদ শামি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 8 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- গুজরাটে রেকর্ড জয় বিজেপির, হিমাচল কংগ্রেসের
আরও শুনুন: 7 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- দেড় দশক পরে হার বিজেপির, দিল্লি পুরসভা ভোটে জয় আপ-এর
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির আঁতুড়ঘর এসএসসি অফিস। তদন্তে নেমে সিবিআই কর্তারা জানতে পারেন, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার মোট ২৩ লক্ষ ওএমআর শিট এসএসসি অফিসে রয়েছে। যা খতিয়ে দেখার বরাত পেয়েছিল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসা। ওই সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিক পঙ্কজ আগরওয়ালকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপরই জানা যায়, ওই সংস্থার মাধ্যমে ওএমআর শিট স্ক্যানিং করা হত এসএসসি অফিসের তিনতলায়। তদন্তকারীদের মতে ওই সংস্থার কাছে ওএমআর শিটের সঠিক নম্বর রয়েছে। তবে এসএসসি অফিসের সার্ভারে ওএমআর শিটে কারচুপি করে নম্বর বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রিপোর্টে আরও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৮ হাজার ১৬৩টি ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। এসএসসি সুপারিশ অনুযায়ী ২৩ হাজার ৪৪৯ জন চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা এখনও কাজ করছেন। অর্থাৎ ৩০ শতাংশের চাকরি হয়েছে বেআইনিভাবে। খোদ এসএসসি অফিস থেকে এহেন কারচুপির হদিশ পেয়ে সিবিআই-এর দাবি, এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রায় সকলে জড়িত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও।
2. দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারপতি তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই ব্যাখ্যা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তিনদিনের ব্যবধানে দু’বার গুজরাট পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র। অক্টোবরে গুজরাটের মোরবির সেতু বিপর্যয় নিয়ে টুইটারে গুজরাট প্রশাসনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাকেত। সেই ইস্যুতে নির্বাচন মিটতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশ। এই মামলায় জামিন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ফের কোনও নোটিস বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাঁকে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার করা হয়। সাকেতের পাশে দাঁড়াতে শুক্রবার সকালেই মোরবি পৌঁছে যায় তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল। সাংসদদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং ডাঃ শান্তনু সেন, লোকসভার তিন সাংসদও। জামিন পাওয়ার পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন সাকেত। নির্বাচন কমিশনে এ নিয়ে নালিশ জানাবেন প্রতিনিধিরা, খবর সূত্রের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।