বসবাসের উপযুক্ত নয় যোশিমঠ, ঘোষণা উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর। আত্মঘাতী স্কোয়াড গড়ে ছিল হামলার ছক। যোগাযোগ পাকিস্তানের সঙ্গেও। হাওড়া থেকে ধৃত ২ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। লেকটাউনে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে বিএসএফের গাড়ি। পন্থের দুঃসময়ে পাশে বিসিসিআই। খেলতে না পারলেও দেওয়া হবে আইপিএল চুক্তির পুরো টাকা। সিদ্ধান্ত বোর্ডের বার্ষিক চুক্তির পুরো অর্থ দেওয়ারও।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে যোশিমঠের ভাঙন ঘিরে। রবিবার যোশিমঠকে বসবাসের অযোগ্য হিসাবেই ঘোষণা করা হয়েছে। এখানকার পৌর এলাকাগুলিকে ‘বিপর্যস্ত’ তকমা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ধামির কাছে। ইতিমধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে প্রায় ৫৬১টি বাড়িতে এবং যোশিমঠ-মালারি সড়কেও। ভারত-চিন সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত এই রাস্তাজুড়ে নানা স্থানেই দেখা যাচ্ছে বড় বড় ফাটল। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এদিন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। দীর্ঘদিন ধরেই যোশিমঠের বাসিন্দাদের দাবি ছিল, যেভাবে ফাটল দেখা দিচ্ছে এখানে, তাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। তাই এখান থেকে পুনর্বাসন দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু অভিযোগ ছিল উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি প্রশাসন সেই দাবিতে কান দিচ্ছে না। সম্প্রতি ফাটল ঘিরে আতঙ্ক বাড়তে থাকায় যোশিমঠ খালি করে দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। নৈশাবাসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বহু পরিবারকে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কোনও হোটেলে থাকা যাবে না বলে পর্যটকদের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে চপারও। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছিলেন,পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কেন এই ফাটল দেখা দিয়েছে, সেই কারণ অনুসন্ধান করছেন বিজ্ঞানীরা। রবিবার সরকারি ভাবেই যোশিমঠকে বসবাসের অযোগ্য হিসাবে ঘোষণা করল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন।
2. টিকিয়াপাড়া থেকে ধৃত ২ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পর্যাপ্ত অস্ত্র আর বিস্ফোরক জোগাড় করে হামলার ছক ছিল মহম্মদ সাদ্দাম ও সঈদ হোসেনের, এমনটাই খবর কলকাতা এসটিএফ সূত্রে। পুলিশের তরফে আরও জানা গিয়েছে, পাকিস্তান-মধ্য়প্রাচ্যের জেহাদিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত সাদ্দাম। টেলিগ্রাম সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাংকেতিক ভাষা বা গোপন কোডে চলত তথ্য আদান-প্রদান। গত ২ বছর ধরে আইসিস বা ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও সাদ্দামের ভালরকম যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেকের পড়ুয়া সাদ্দামের ফোন ও ল্য়াপটপেও মিলেছে বিস্ফোরক ছবি-ভিডিও। জেহাদিদের হত্য়ার নৃশংস ভিডিও রাখা ছিল সেখানে। সেগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী, কট্টরপন্থার প্রচার করত ধৃতরা। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। দেশবিরোধী কাজে উসকানি দিতে বিস্ফোরণ, নারকীয় হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে দিত তারা। বহু যুবকই তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। মহম্মদ সাদ্দাম ও সঈদ হোসেনের এই কর্মকাণ্ডের পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।