নজিরবিহীন গেরুয়া ঝড় গুজরাটে। বিজেপির অতীতের রেকর্ড ভাঙল বিজেপিই। গুজরাটে জয় পেলেও হিমাচলে আটকাল বিজেপি। হতে পারে বিধায়ক কেনাবেচা, জিতেও আশঙ্কা হাত শিবিরে। দিল্লি থেকে ফিরেই এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রী। রোগী ভরতির পদ্ধতি সম্পূর্ণ করার আগে জরুরি চিকিৎসা, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। উষ্মাপ্রকাশ রেফার পদ্ধতি নিয়েও। একসঙ্গে ছ’টি সিরিজের ঘোষণা BCCI-এর। নতুন বছরের শুরুতেই ম্যাচ পাচ্ছে ইডেন।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 7 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- দেড় দশক পরে হার বিজেপির, দিল্লি পুরসভা ভোটে জয় আপ-এর
আরও শুনুন: 6 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- সাকেতের গ্রেপ্তারি ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়’, সরব মমতা, তোপ অভিষেকের
বিস্তারিত খবর:
1. গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভাঙল বিজেপিই। গেরুয়া ঝড়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। ধারেকাছে নেই কেজরিওয়ালের আপ। রেকর্ড আসনে জয় হাসিল করে সপ্তম বারের জন্য গুজরাটের মসনদে বসতে চলেছে বিজেপিই। এবারের গুজরাট ভোট নিয়ে অবশ্য নানা আশঙ্কার চোরাটান ছিল। টানা ক্ষমতায় থাকার দরুন প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া গেরুয়া শিবিরের ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। সাম্প্রতিক মোরবি সেতু বিপর্যয়ও বড় ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। বাস্তবে দেখা গেল গুজরাটের ভোটে এ সবের কোনও প্রভাব তো সেভাবে পড়েইনি, উলটে অতীতের রেকর্ড ভেঙে আরও বেশি আসন দখল করেছে বিজেপি। ম্যাজিক ফিগার থেকে অনেক এগিয়ে এই প্রথমবার ১৫০ আসন জয়ের মাইলস্টোন পেরিয়ে গিয়েছে বিজেপি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জয় এবং এগিয়ে থাকার দরুন অন্তত ১৫৬টি আসন বিজেপির দখলে। সেখানে একই হিসাবে কংগ্রেসের দখলে মাত্র ১৭টি আসন। গুজরাটে এই প্রথম এতবড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ল শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। ২০১৭ সালেও ৭৭টি আসন দখলে ছিল কংগ্রেসের। টেনেটুনে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে ৯৯টি আসন জিতে সরকার গড়েছিল বিজেপি। গত পাঁচ বছরে ব্যাপক হাওয়াবদল। এবারের নির্বাচনে কার্যত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনও ছাপই রাখতে পারল না কংগ্রেস। দিল্লি পুরসভা নির্বাচনে বিজেপিকে টক্কর দিলেও, গুজরাটে মুখ থবড়ে পড়েছে কেজরিওয়ালের আপ-ও। সব মিলিয়ে গেরুয়া ঝড়ের সামনে গুজরাটে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বিরোধী শিবির। ফলে সপ্তম বার গুজরাটের দখল থাকছে বিজেপির হাতেই। সমস্ত সমালোচনা ধুলোয় মিশিয়ে ভূপেন্দ্র প্যাটেলই পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসছেন, শপথ সোমবারই। বিপুল জয়ের জন্য গুজরাটকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিকে গুজরাটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর মোদির বিকল্প যে মমতাই, এ কথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেই মত তৃণমূলের। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “তৃতীয় বিকল্প বা অবিজেপি বিকল্পের ক্ষেত্রে, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তির ক্ষেত্রে, তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা এবং প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব আজকের ফলে আবারও প্রমাণিত হল। নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।”
2. গুজরাটে বিপুল জয়ের মধ্যেও বিজেপির কাছে কাঁটা হয়ে থাকল হিমাচলের নির্বাচনী ফলাফল। আর গুজরাট বিপর্যয়ের মধ্যেই কংগ্রেসের কাছে খানিকটা অক্সিজেন হয়ে থাকল হিমাচল। পাহাড়ি রাজ্যের রাশ থাকতে চলেছে হাত শিবিরের হাতেই। নির্বাচনী ফলাফল জানাচ্ছে, হিমাচল প্রদেশে অন্তত নিশ্চিত জয় এবং এগিয়ে থাকার দরুন অন্তত ৪০টি আসন দখলে থাকছে কংগ্রেসের। সেখানে, একই হিসাবের নিরিখে বিজেপির কর্তৃত্ব বজায় থাকছে ২৫ আসনে। অর্থাৎ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েই হিমাচলে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। এই বিপুল জয়ের জন্য সাধারণ মানুষ ও কংগ্রেস নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গের মতে, রাহুলের ‘ভারত-জোড়ো-যাত্রা’র প্রভাব বেশ ভালমতোই পড়েছে হিমাচলের ফলাফলে। যার ফলে অনেক চেষ্টা করেও জয় হাসিল করতে পারেনি বিজেপি। তবে জয় সত্ত্বেও আশঙ্কার চোরাটান বইছে হাত শিবিরে। হাত শিবিরের আশঙ্কা, সোজা পথে ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও সরকার গড়ার জন্য ঘোড়া কেনাবেচার মরিয়া চেষ্টা করতে পারে বিজেপি। অন্য রাজ্যের মতো হিমাচলে অপারেশন লোটাসের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেকারণেই আগেভাগে বিধায়কদের সতর্ক করা শুরু করেছে হাত শিবির। ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য সব জয়ী প্রার্থীর কাছে ফোন গিয়েছে হাই কম্যান্ডের তরফে। কংগ্রেসের তিন শীর্ষনেতা রাজীব শুক্লা, দীপেন্দ্র হুডা এবং ভুপেশ বাঘেলকে ইতিমধ্যেই হিমাচলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, দলের বিধায়কদের ভিনরাজ্যে পাঠিয়ে দিতে পারেন খাড়গেরা। যদিও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। আপাতত জয়ী শিবিরে ভাঙন রোখাই বড় চ্যালেঞ্জ কংগ্রেসের কাছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।