বকেয়া ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ অভিষেকের। টাকা আদায়ে ১ কোটি চিঠি দিন, জনতার দরবারে আবেদন নেতার। হিন্দু ধর্ম নিয়ে একহাত বিজেপিকেও।মহিলাদের পোশাক নিয়ে কু-মন্তব্য কৈলাস বিজয়বর্গির। বিজেপি নেতার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তোপ তৃণমূলের। নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন মোড়। আরও জোরালো হচ্ছে DA আন্দোলন। দিল্লির যন্তরমন্তরে সরকারী কর্মীদের ধরনার অনুমতি দিল পুলিশ।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার আলিপুরদুয়ারে জনসভায় একশো দিনের কাজে বকেয়া-সহ নানা ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন তিনি। এদিন জনতার প্রতি তাঁর বার্তা,”আমাকে ১ কোটি চিঠি দিন, দিল্লি থেকে টাকা ছিনিয়ে আনব।” ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বাংলাজুড়ে স্বাক্ষর ও চিঠি সংগ্রহের নয়া কর্মসূচি। একইসঙ্গে কেন্দ্র ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা না দিলে দিল্লি স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি। প্রয়োজনে বঞ্চিতদের দলের খরচায় দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে, সেখানে রেখে চলবে আন্দোলন, এমনটা সাফ জানিয়েছেন অভিষেক। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক তাস খেলার অভিযোগেও সরব হলেন অভিষেক। তাঁর কটাক্ষ, বালাকোটের নামে বিজেপি ভোট চেয়েছে। ‘হিন্দু খতরে মে’ বলে ভোট চেয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাঁর সরাসরি প্রশ্ন, “কী করেছে ওরা হিন্দু ধর্মের জন্য?” এদিন কেন্দ্র সরকার বকলমে বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “এরা শুধুমাত্র তৃণমূলের শত্রু নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শত্রু নয়। এরা বাংলার শত্রু, আলিপুরদুয়ারের শত্রু, আপনার শত্রু, সবার শত্রু। গায়ের জোরে টাকা আটকে রেখেছে।” দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচাও দিতে দেখা যায় অভিষেককে। অন্যদিকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও এদিন মন্তব্য রাখেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “পঞ্চায়েত হবে মানুষের। সবাই ভোটে দাঁড়াবে। যার যাকে খুশি ভোট দেবেন। পঞ্চায়েতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট হবে।” একইসঙ্গে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতায় জোর দেওয়ার কথাও জানালেন তিনি। এভাবেই এদিন আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন তিনি। রাজ্যে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সাম্প্রদায়িক অশান্তির আবহে তাঁর এহেন বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
2. নারীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষের মুখে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী। যে সব মেয়েরা ‘রুচিহীন’ পোশাক পরে তারা আসলে শূর্পনখার মতো। কৈলাসের এই মন্তব্যেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরাও। এবিষয়ে বাংলার মন্ত্রী শশী পাঁজা কটাক্ষের সুরে বলেন, মহিলাদের অপমান করার বিষয়টা বিজেপির কাছে চিরস্থায়ী হয়ে যাচ্ছে। এভাবে ভারত এগোবে নাকি পিছবে? তাঁর ছেলেও প্রকাশ্যে মারধর করেছিল। এদের থেকে আর কী প্রত্যাশিত! বেটি বাঁচাও বলে, বেটি পোড়ানো হচ্ছে। হাতরাসে সে দৃশ্যই ধরা পড়েছিল। একইসঙ্গে গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। তোপ দেগে তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা লিঙ্গভিত্তিক ভেদাভেদে ইন্ধন দেন। একই সঙ্গে নারীবিদ্বেষী মন্তব্যও করে থাকেন। তাঁর বক্তব্য, এই অমৃতকালে ‘নারী তু নারায়ণী’-র মতো কথা আসলে স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। তৃণমূলের আরও কটাক্ষ, মহিলারা কী পোশাক পরবেন, তাও বিজেপি নেতারা ঠিক করে দেবেন। নিজেও ছেলের ক্ষেত্রেও কি তেমনটাই করেন কৈলাস? শুধু তৃণমূল তরফেই নয়, বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।