সব জল্পনার অবসান। বাংলার রাজ্য দিবস পয়লা বৈশাখই, রাজ্য গান ‘বাংলার মাটি’। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই বিধানসভায় পাশ বাংলা দিবসের প্রস্তাব। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজভবনের সামনে ধরনার ডাক উপাচার্যদের। একধাক্কায় ৪০ হাজার টাকা বেতন বাড়ল রাজ্যের বিধায়ক, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের। ঘোষণা করা হল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দিনক্ষণ। ডিসেম্বরের বদলে নভেম্বরেই হবে উৎসব। উদ্বোধনে থাকছেন শাহরুখ, সলমন, অনিল।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 6 সেপ্টেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ইন্ডিয়া-ভারত বিতর্কে মুখ খোলা নয়, মন্ত্রিসভাকে নির্দেশ মোদির
আরও শুনুন: 5 সেপ্টেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ইন্ডিয়া-র পরিবর্তে ভারত, দেশের নাম বদল নিয়ে জল্পনা
বিস্তারিত খবর:
1. জল্পনার অবসান। বাংলার রাজ্য দিবস অর্থাৎ ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে বেছে নেওয়া হল ১ বৈশাখকেই। সেই সঙ্গে বাংলার রাজ্য গান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে কবিগুরুর লেখা ‘বাংলার মাটি-বাংলার জল…’ গানটিকে। বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় এই মর্মে প্রস্তাব পেশ করল রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১৯৪৭ সালের ২০ জুন বাংলায় রাজ্যই প্রতিষ্ঠা হয়নি। কোনও মর্যাদাকর ঘটনা ঘটেনি। মূল পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয় ১৫ আগস্ট। পরে আরও অংশ জুড়েছে। আমাদের কাছে অনেক পরামর্শ এসেছিল। ৯৯% লোক বলেছে, পয়লা বৈশাখ দিনটিই পালিত হোক।” তাঁর মতে, বাংলা দিবস এমন দিনেই পালন করা উচিত যে দিনটি বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বক্তব্য রাখার পরই প্রস্তাব পাশ বলে ঘোষণা করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬৭-৬২ ভোটে পাশ হয় এই প্রস্তাব। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি, এই প্রস্তাব রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হলেও রাজ্যপালকে সেখানে সই না করার আবেদন জানাবেন বিরোধীরা। তবে রাজ্যপাল সই না করলেও ওই দিনটিকেই বাংলা দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে পালটা তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে আরও জোরালো হল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শিক্ষাক্ষেত্রে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে রাজভবনের বাইরে ধরনার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সিভি আনন্দ বোসের বক্তব্য, “বাইরে নয় প্রতিবাদ যা করার রাজভবনের ভিতরে এসে করতে পারেন।” একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের বিস্ফোরক অভিযোগ, শিক্ষাদপ্তরের তরফে চাপ তৈরি করে ৫ উপাচার্যকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি দেওয়া হয়েছে খুনের হুমকিও। রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলে তার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১১টায় রাজভবনের সামনে ধরনার ডাক দিয়েছেন তৃণমূলপন্থী উপাচার্যরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের উচ্চশিক্ষায় অব্যবস্থা তৈরি করছেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে স্বাক্ষর করছেন না তিনি। সম্মান করছেন না রাজ্য সরকারকেও। এদিকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচ নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যের মোট ৩০ সরকারি ও সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে শুক্রবার বৈঠকে ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে ডাক পেয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। এই বৈঠকে তিনি সিসিটিভি লাগানোর জন্য বাড়তি অর্থ বরাদ্দের কথা তুলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে সেই বৈঠকে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যার জেরে বৈঠক নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হল এবার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।