দুদিনে পিছল তিনবার, সুপ্রিম কোর্টে আধঘণ্টায় শেষ আর জি কর শুনানি। মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের প্রস্তাবে ভর্ৎসনা প্রধান বিচারপতির। সোমবার থেকে শিয়ালদহ আদালতে শুরু আর জি কর মামলার বিচার। মোট সাক্ষীর সংখ্যা ১২৮। রয়েছেন ১৯ জন ডাক্তার ও ৩৫ জন পুলিশ। এবার অভয়ার বাবাকে ফোন খোদ অমিত শাহের। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ। ‘ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি’, রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের। সলমনের পর এবার প্রাণনাশের হুমকি পেলেন শাহরুখ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 5 নভেম্বর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- পিছোল আর জি কর মামলা, বুধবার দিনের শুরুতেই সম্ভাবনা শুনানির
বিস্তারিত খবর:
1. দুদিনের মধ্যে তিনবার পিছিয়ে অবশেষে আধঘণ্টাতেই শেষ আর জি কর মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানিতে জমা পড়ে সব পক্ষের রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালার বেঞ্চে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। পাশাপাশি, জাতীয় টাস্ক ফোর্সের কাজ নিয়েও একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের। সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্টে বহু দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিচারপতিরা জানান, বিষয়টি সংবেদনশীল, প্রকাশ্যে আলোচনার মতো নয়। তাঁরা আরও বলেন, শিয়ালদহ আদালতে চার্জ গঠন হয়েছে, আগামী সোমবার থেকে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এদিকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি বিচারপতিরা জানান, জাতীয় টাস্ক ফোর্স নিয়ে রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সচিবরাও নিজেদের মতামত হলফনামা আকারে জানাতে পারেন।
এদিকে জনতার অনাস্থার প্রসঙ্গ তুলে এদিন আর জি কর মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। কিন্তু তাঁকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
2. ১১ নভেম্বর, সোমবার থেকে শিয়ালদহ আদালতে শুরু আর জি কর মামলার বিচারপর্ব। হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে শিয়ালদহ আদালতের এডিজে-র এজলাসে চার্জ গঠন হয়েছে। তবে সঞ্জয় রায়ের বিচারপর্বে কতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
বিচারপর্বে সাক্ষীদের বক্তব্য বা সাক্ষ্য নেওয়া মূল প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিটের সঙ্গে সঙ্গেই ১২৮ জন সাক্ষীর তালিকা পেশ করে সিবিআই। এর মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন চিকিৎসক। এছাড়া রয়েছেন ৩৫ জন পুলিশকর্মী। তবে আদালত সব সাক্ষীর সাক্ষ্য নাও নিতে পারে, সিবিআই সূত্রে শোনা যাচ্ছে এমনটাই। শিয়ালদহ আদালতে প্রতিদিনই শুনানি হবে এই মামলার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।