গরিবদের জন্য উচ্চশিক্ষা ও চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষেই সায় শীর্ষ আদালতের। গুরু নানকের জন্মদিনে শিখ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন হালুয়া পাঠানোর আবদার। জন্মদিনে বাড়ির বাইরে জনতার মাঝে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের আনা কেক কেটে, হুড খোলা গাড়িতে চড়ে, সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ালেন হিরোর মতোই।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণিকেও সংরক্ষণের আওতায় আনার পক্ষে রায় দিল শীর্ষ আদালত। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা জনতার জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করা যাবে। এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক তকমা দেওয়া যায় না। অর্থনৈতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাব এনেছিল কেন্দ্র। ২০১৯ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই সংরক্ষণকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যদিও তা সংবিধানের মূল কাঠামোকে লঙ্ঘন করছে বলেই অভিযোগ উঠেছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার রায়েই এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, গরিবদের জন্য সংরক্ষণ অসাংবিধানিক নয়। ডিভিশন বেঞ্চে পাঁচ বিচারপতির মধ্যে তিনজনই সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করেন। প্রধান বিচারপতি অবশ্য এই সংরক্ষণের বিপক্ষে ছিলেন। তবে সংরক্ষণের পক্ষে থাকা বিচারপতিরা স্পষ্টই জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংরক্ষণ ব্যবস্থারও পরিবর্তন ও পরিমার্জন হওয়া দরকার। এরপরই আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর উপকৃত হবেন দেশের আর্থিক অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
2. গুরু নানকের জন্মদিনে শহিদ মিনার চত্বরে শিখ সম্প্রদায়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চত্বরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা চলছিল। এদিন কলকাতা পুলিশের তরফে অনুরোধ করে একদিনের জন্য ওই জায়গা খালি করে দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর উপচার নিয়ে যান। তারপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ”আমাদের সঙ্গে আপনাদের সারা বছর যোগাযোগ আছে। আপনাদের সবাইকে অসংখ্য শুভেচ্ছা। সবাই ভাল থাকুন। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাব।” একই সঙ্গে তাঁদের কাছে হালুয়া পাঠানোরও আবদার করেন মমতা। পাশাপাশি গুরুনানক ভবন নিয়ে শিখদের আবেদনেও সদর্থক বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুনানক ভবনের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”আপনারা এর কথা আমায় বলেছেন। ওটা ৬ কোটির প্রপার্টি। আমাদের সেটা একেবারে করা সম্ভব নয়। আপনারা আমাকে আর একবার আবেদন জানান। আমি এক টাকায় দিয়ে দেব। সামাজিক কাজের জন্য আমরা দিতে পারব। আমরা হিডকো বোর্ড হয়ে ক্যাবিনেটে পাশ করিয়ে তা করে দেব৷” শিখ সম্প্রদায়ের উৎসবে শামিল হয়ে রাজ্যের সর্বধর্ম সমন্বয়ের পরিবেশই আরও একবার তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।