এখনই বাতিল নয় ২৬ হাজার চাকরি। SSC মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি সুপ্রিম কোর্টের। রায়ে তৃপ্ত মমতা, বিজেপিকে তোপ অভিষেকের। তৃতীয় দফায় ভোট বাংলার চার কেন্দ্রে। রাজ্যে ভোট পড়ল ৭৩.৯৩ শতাংশ। যোগীরাজ্যে সংখ্যালঘুদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সোমবার কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রাজ্যে মৃত ৯। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের প্রস্তুতি শিবিরে ডাক আরও ১৫ জনের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 6 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- অবশেষে স্বস্তি, বৃষ্টি কলকাতা-সহ রাজ্যের অধিকাংশ জেলায়
আরও শুনুন: 5 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ভোটের মাঝে অযোধ্যার রামন্দিরে মোদি, দর্শন পুজোর পর হল রোড-শো
বিস্তারিত খবর:
1. SSC মামলায় চাকরি বাতিলের রায়ে আপাতত স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। এদিনের রায়ে শীর্ষ আদালত জানায়, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা গেলে পুরো প্যানেল বাতিল করা বৈধ নয়। তার ফলে যে সার্বিক অভিঘাত আসবে, তাও মাথায় রাখতে হবে। এদিন শুনানি চলাকালীন এসএসসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিবিআইয়ের তথ্যের উপর ভিত্তি করে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা তালিকা তৈরি করা সম্ভব। নিজেদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে এসএসসি আদালতকে জানায়, কমিশনের সুপারিশ ছাড়া যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের সমর্থন করে না কমিশন। সওয়াল-জবাব পর্বের শেষে চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশই জারি করে শীর্ষ আদালত। চাকরিহারাদের ১২ শতাংশ হারে বেতন ফেরানোর যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, সেই নির্দেশেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজ্য জানিয়েছিল, সুপারনিউমেরিক পদে কোনও নিয়োগ হয়নি। তাই মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৬ জুলাই। এদিনের সুপ্রিম রায়ে সাময়িক স্বস্তি মিলল চাকরিহারাদের। অন্তর্বর্তী রায় সামনে আসার পরই ‘তৃপ্ত’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। তবে, বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট এবং রাজ্য সরকার উৎখাতের জন্য এক সপ্তাহ আগে বোমা ছুড়েছিল বিজেপি। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট বিজেপির ছোড়া সেই বোমা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এদিনের রায়ে সত্যের জয় হল বলেই জানিয়েছেন অভিষেক।
2. তৃতীয় দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদ, মালদায়। এদিন ভোট ছিল বাংলার ৪ কেন্দ্র – মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গিপুরে। সকালেই মুর্শিদাবাদের লোচনপুরে সিপিএম প্রার্থী সেলিমকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়, দেওয়া হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান সেলিম। ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। সিপিএম কর্মীদের ভোট দানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে করিমপুরেও। এদিকে মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের হলদিবাড়ি এবং চাঁদমনি বুথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর মালদার রতুয়া ১ নং ব্লকের চাঁদমণি ২ নং অঞ্চলের বাটনা এলাকায়। বোমাবাজি করে সাধারণ ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মালদহ, মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গা থেকেই অভিযোগ আসতে থাকে। তবে বিক্ষিপ্ত অশান্তি সত্ত্বেও বাংলায় ভোটদানের হার ভালই। তৃতীয় দফায় রাজ্যে ভোট পড়ল ৭৩.৯৩ শতাংশ। সর্বাধিক ৬৫ শতাংশ ভোটদান হয়েছে মুর্শিদাবাদেই। দেশের অন্যত্রও ভোটের ছবি মোটের উপর শান্তিপূর্ণ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।