তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে জল ঢাললেন অভিষেক। ‘কোনও দ্বন্দ্ব নেই, মমতার নেতৃত্বেই ঐক্যবদ্ধ দল’। ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে স্পষ্ট বার্তা নেতার। ইনসাফের ব্রিগেডে বড় জমায়েত বামেদের। বাংলাদেশে শেষ ভোটগ্রহণ পর্ব। নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ তৃণমূলের। প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ সফর ঘিরে সরগরম নেটদুনিয়া। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে দল ঘোষণা ভারতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 5 জানুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- সন্দেশখালির ঘটনায় সরব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, পালটা কুণালের
বিস্তারিত খবর:
1. নতুন বছরে ডায়মন্ড হারবারে নিজের সংসদীয় কেন্দ্র থেকেই রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনের সভা থেকেই দলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে কার্যত জল ঢাললেন নেতা। সাফ জানিয়ে দিলেন, ”কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ। আমি দলের অনুগত সৈনিক। দল যে দায়িত্ব দেবে, সেটাই পালন করব।” এদিন প্রতিশ্রুতিমতো ডায়মন্ড হারবারের পৈলানে প্রথম ধাপে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হল সাংসদের তরফে। প্রায় ৭৫ হাজার প্রবীণ নাগরিক বার্ধক্য ভাতার জন্য নথিভুক্ত হয়েছেন। তাঁদের হাতে ১০০০ টাকার চেক তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যতদিন পারবেন এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেই আশ্বাস নেতার।
2. ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রা শেষে, রবিবার বামেদের ব্রিগেডে চোখে পড়ল নজরকাড়া ভিড়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত রাজ্যসঙ্গীত অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি গেয়েই সূচনা হয় মেগা সমাবেশের। এদিনের প্রায় সব নজর ছিল DYFI যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের বক্তৃতার দিকে। প্রত্যাশামতোই ঝাঁজালো বক্তব্যে তিনি বুঝিয়ে দেন যে, সাংসদ, বিধায়ক হওয়ার জন্য বামেরা লড়াই করে না। মানুষের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ, তাই ইনসাফ যাত্রা ভবিষ্যতেও জারি থাকবে। দক্ষিণপন্থীদের তুলোধোনা করার পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ-বঞ্চনা গুরুত্ব পায় তাঁর বক্তব্যে। বঙ্গে বামেদের উত্তরসূরী হিসাবে তিনি যে যথেষ্ট যোগ্য, এদিন তা স্পষ্ট ভাবেই প্রমাণ করে দিয়েছেন মীনাক্ষী। এবারের ব্রিগেড প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “ব্রিগেড নতুন নয়। ২১ সালেও ব্রিগেড করেছে। তারপর শূন্য পেয়েছে। ব্রিগেডে লোক আসছে দেখিয়েও সিট তো সেই গিয়ে শূন্য। বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে সিপিএম।” ভিড় আর ভোটের অঙ্ক না মেলা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। বামেদের ব্রিগেডে বিপুল জনাসমাবেশ নতুন কিছু নয়। তবে তার প্রভাব আদৌ ভোটে পড়বে কি-না, সে প্রশ্নই ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।