ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের। নেত্রী ও দলকে প্রণাম ঋতব্রতর। ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্বে মমতাই। কলকাতায় বসে জোট চালাতে প্রস্তুত, জানালেন নেত্রী।সমর্থনের ইঙ্গিত অখিলেশ-উদ্ভবের।বাংলাদেশ আবহে মোদিকে খুনের হুমকি। KIFF-এও চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির আঁচ। নন্দন চত্বরে কবিতা-গানে প্রতিবাদ শিল্পীদের। ফের ব্যর্থ রোহিত-বিরাট। ক্রমেই ফ্যাকাশে হচ্ছে ভারতের জয়ের আশা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন:
বিস্তারিত খবর:
1. শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বের পর ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। জানা যাচ্ছে, জহর সরকারের বদলে রাজ্যসভার ওই আসনটিতে ঋতব্রতর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন সোশাল মিডিয়ায় এই খবর জানিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। পালটা সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঋতব্রত জানান, নেত্রীর চরণে প্রণাম।
আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজ্যসভা নির্বাচন। মাস কয়েক আগে রাজ্যসভায় এই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রাক্তন আইএএস জহর সরকার। সেই পদটি ফাঁকা হওয়ায় গুঞ্জন চলছিল, জহর সরকারের জায়গায় কাকে পাঠানো হবে সংসদের উচ্চকক্ষে। শনিবার সেই জল্পনার অবসান ঘটল। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ওই আসনের জন্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করল রাজ্যের শাসকদল। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করছেন, ঋতব্রত এই পদের যোগ্য। নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা আর পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন শ্রমিক নেতা।
2. ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, কলকাতায় বসে ইন্ডিয়া জোট চালাতে তিনি প্রস্তুত। জোট শরিকদের অনেকেই তাঁকে সমর্থন জানাতে প্রস্তুত। এ প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র উদয়বীর সিং বলেন, “যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দিতে চান, তাহলে বাকিদেরও বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। ওঁকে সমর্থন করা উচিত। এতে জোটের হাত শক্ত হবে।” এদিকে, তৃণমূল নেত্রীকে সমর্থন করবেন কি না, তা খোলসা না করলেও বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিব সেনার উদ্ধব শিবিরের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক আরজেডি তথা লালুপ্রসাদ যাদবের দল জানিয়েছে, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মজবুত সরকার বানিয়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দলের ঐক্য বজায় থাকবে। তবে কংগ্রেস মোটেই নিজেদের জায়গা ছাড়তে রাজি নয়। হাত শিবিরের এক নেত্রীর দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন মনে করতে পারেন, কিন্তু আমরা তেমন ভাবছি না। ওঁর কথায় ওঁর দল চলতে পারে। আমরা কংগ্রেসের কথায় চলি।” ফলে স্পষ্ট হচ্ছে যে ইন্ডিয়া জোটেই ক্রমশ একঘরে হচ্ছে কংগ্রেস। উলটো দিকে বিজেপি বিরোধিতায় প্রধান মুখ হিসেবে উঠে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, ইন্ডিয়ার মুখ মমতা হলে জাতীয় স্তরে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়বে কংগ্রেস। আর সেই কারণেই বাকি শরিকদের সঙ্গে একমত নয় হাত শিবির।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।