মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়েই পার্কিং ফি বৃদ্ধি। কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ। সংবাদ বৈঠকে জানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল। ফের তুঙ্গে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজভবনের নির্দেশিকায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অবলম্বে দাবি চিঠি প্রত্যাহারের। দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার পার। বিশ্বভারতীর উপাচার্যর বরখাস্থের দাবি অধ্যাপক সংগঠনের। নয়া IT নিয়ম জারি কেন্দ্রের। শিক্ষা ব্যবস্থায় বদলের প্রস্তাব এনসিএফের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. কলকাতা পুরসভার তরফে বাড়ানো হয়েছে পার্কিং ফি। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে মেয়রকে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের করতে বলেছেন তিনি। দিনকয়েক আগে ফিরহাদ হাকিম জানান, প্রতি একঘণ্টা পিছু দু’চাকার গাড়ি পার্কিং করতে লাগবে ১০ টাকা। চার চাকা গাড়ির পার্কিং ফি বেড়ে দাঁড়ায় ২০ টাকা। বাস এবং লরি রাখার জন্য ঘণ্টাপিছু পার্কিং ফি ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয় ৪০ টাকা। এই সিদ্ধান্তেরই বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ” পুরসভা এলাকায় পার্কিংয়ের খরচ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এই সরকারের উদ্দেশ্য যাতে সাধারণ মানুষের উপর চাপ না পড়ে। বিষয়টা নিয়ে কথা বলেন অভিষেকও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত তাঁর অনুমোদন সাপেক্ষে এটা হয়নি। যে স্তরেই হোক সরকার বা দল এটা অনুমোদন করে না। তিনি চান না কোনও চাপ পড়ুক। তিনি মেয়রকে জানিয়ে দিয়েছেন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হোক।” তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের বিষয়টি সাধারণ ভাবে দেখছেন না বিরোধীরা।
2. ফের তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজভবনের নির্দেশিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল পদাধিকার বলে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সপ্তাহের শেষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ই-মেল মারফত রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। তবে এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষাদপ্তরকে অন্ধকারে রেখে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেই অভিযোগ এনেছেন তিনি। নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ব্রাত্য বলেন, “এই চিঠির কোনও আইনি ভিত্তি নেই। রাজ্যপাল আইনি পথে চলতে ভালবাসেন। ফলে আমরাও আইনি পরামর্শ দেখব। রাজ্যপালকে বলব সম্মান রেখে এই চিঠিটা যেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।” এরপরই তিনি বলেন, “রাজভবনের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার। একসঙ্গে নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে কাজ করব। উচ্চশিক্ষা দপ্তর কোনও দ্বৈরথে যেতে চায় না। এই চিঠির আইনি বৈধতা নিয়ে সংশয় আছে। এরকম চিঠির বিষয়ে আমি জানতাম না। আমরা জগদীপকে ধনকড়, গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে দেখেছি যারা সোজা কথা সোজাভাবে বলেন। ভাসা ভাসা বিবৃতি দিয়ে লাভ নেই। যা বলতে পারেন এবং যা করতে চান তা খোলসা করে বলতে বা করতে পারেন। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।” এর ফলে যে রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত ফের নয়া রূপ পেল, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।