মিলবে না বাড়তি ডিএ। সরকারি কর্মীদের আন্দোলনের পালটা জবাব মুখ্যমন্ত্রীর। প্রতিবাদ মঞ্চে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী ও নওশাদ সিদ্দিকি। শুরু অনুব্রত মন্ডলের দিল্লি যাত্রার প্রস্তুতি। কলকাতায় যাওয়ার পথে নেতাকে নিরাপত্তা দেবে পুলিশই। নির্দেশ আসানসোল সিবিআই আদালতের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সুখবর। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ হবে আড়াই হাজারেরও বেশি কর্মীর। নিয়োগের সিদ্ধান্তে অনুমোদন মন্ত্রিসভার। সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ। এবার তিহার জেলে ঠাঁই সিসোদিয়ার। আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 5 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার রুখতে মোদিকে চিঠি মমতা-সহ ৯ বিরোধী নেতার
বিস্তারিত খবর:
1. বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে দাবিপূরণ নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমাকে যদি পছন্দ না হয় তাহলে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার কাছে আর পাবেন না।” অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের জন্য বরাদ্দ পেনশনের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “দেশের কোনও রাজ্য এখন অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন দেয় না। তাহলে কি পেনশন বন্ধ করে দেব? পেনশন না দিলে রাজ্য সরকারের হাতে অনেক অনেক টাকা থাকবে। ডিএ দিতে পারব।” এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফের আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তাঁর সওয়াল, “যতটা সম্ভব রাজ্য সরকার দিচ্ছে। ডিএ বাধ্যতামূলক নয় যে দিতেই হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্কেল আলাদা। রাজ্য সরকারি কর্মীরা ছুটিও পান অনেক বেশি। দু’টোকে এক করে ফেললে চলবে না।” ডিএ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। তারই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই সরকারি কর্মচারী মহলে জোর শোরগোল। তবে আগামী ১০ মার্চের ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে এককাট্টা তাঁরা। ওইদিন কোন সরকারি কর্মী কেমন কাজ করছেন, সেদিকে মন্ত্রীদের নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, সোমবার শহিদ মিনারে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়করা এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
2. কাটল অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লিযাত্রায় জট। কলকাতার হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অনুব্রতর সমস্ত দায়িত্ব আসানসোল কারা কর্তৃপক্ষের। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। মেডিক্যাল টেস্টে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়া গেলে তারপরই তাঁর দায়িত্ব ইডি’র কাছে হস্তান্তর করা যাবে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিলেন আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। যত দ্রুত সম্ভব অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে ইডিকে, হাই কোর্টের নির্দেশ উল্লেখ করে এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি। আর এই নির্দেশের পরই তৎপর জেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, দোলের দিনই কলকাতায় আনা হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকে। জোকা ইএসআই হাসপাতালে করা হবে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিমানে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। বিমানে থাকবেন একজন মেডিক্যাল অফিসার। এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে টানাপোড়েন কম হয়নি। তবে এবার আদালতের নির্দেশে সেই জট কাটল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।