জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের দোষীকে ফাঁসি, ঘটনার দু-মাসের মধ্যে রায় ঘোষণা করল বারুইপুর আদালত। আর জি কর নিয়ে আন্দোলন ‘রাজনৈতিক’, সাফ কথা মুখ্যমন্ত্রীর। নতুন বছরেই ভারতে আসছেন পুতিন। বাংলাদেশের নোটে আর থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ছবি। ফের ‘দিল্লি চলো’-র ডাক কৃষকদের। স্টার্কের ৬ উইকেট, ২০০-র কমে অলআউট ভারত।
হেডলাইন:
আরও শুনুন:
বিস্তারিত খবর:
1. জয়নগর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল নিম্ন আদালত। ৬২ দিনের মধ্যেই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হল বারুইপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন ফাস্ট ট্রাক কোর্টে। এবার সেই বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা সকল ব্যক্তিকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মাস দুয়েক আগে জয়নগর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচার চেয়েছিলেন। ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় মুস্তাকিন সর্দারকে। শুক্রবার তাকে ফাঁসির সাজা শোনানো হল। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, মাত্র দুই মাসের মধ্যে এমন একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া, রাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই ঘটনায় টুইট করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাংসদ।
2. আর জি করের আন্দোলন ‘রাজনৈতিক’, এবার স্পষ্ট করেই তা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সশুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘আন্দোলন কেউ করতেই পারে, সেটা গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এই আন্দোলন যে রাজনৈতিক ছিল, তা তো প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।’ এদিন, ৬২ দিনের মাথায় জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের কিনারা করে ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের সক্রিয়তা আর দক্ষতাতেই বিচারব্যবস্থায় এমন নজিরবিহীন ঘটনা। শুক্রবার বিকেলে বারুইপুর আদালত দোষীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের প্রশংসা করেছিলেন। সেই আবহেই আরজি করে ঘটনা নিয়ে তাঁর গলায় শোনা গেল আক্ষেপ। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ”আমি মা-বাবাকে বলেছিলাম, একমাস সময় দিন। বিচার হবেই। তার পর না হলে তখন সিবিআই দিতে। কিন্তু তার আগেই সিবিআইয়ের হাতে চলে গেল তদন্তভার।” তাঁর আরও আক্ষেপ যে, সিবিআই তদন্তের মাঝে সময় নষ্ট না হলে হয়ত ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে এতদিনে আর জি কর মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যেত। যেমনটা হয়েছে জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায়। জয়নগরের বিচারের সন্তুষ্টির পাশাপাশি, আর জি কর নিয়ে তাঁর আক্ষেপ এদিন গোপন রাখলেন না মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।