সাকেত গোখলের গ্রেপ্তারির নিন্দায় সরব মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, দাবি তুলে গুজরাট সরকারকে ধিক্কার মমতার। বিজেপিকে তোপ অভিষেকেরও। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও বিপাকে কমিশন। মিলল ৪০ বেআইনি চাকরির প্রমাণ। ২০১৬-র প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের। অভিনেতা পরেশ রাওয়ালকে তলব কলকাতা পুলিশের। ১২ ডিসেম্বর তালতলা থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই এহেন পদক্ষেপ নিয়েছে গুজরাট সরকার, দাবি নেত্রীর। এদিন রাজস্থানের পুষ্করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “খুব খারাপ এবং দুঃখের খবর। সাকেত খুব ভাল ছেলে। ওর কোনও দোষ নেই। মোরবি একটা বিরাট বড় দুর্ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টুইট করেছিল, কিন্তু কিছু ভুল লেখেনি।” অক্টোবরের শেষদিকে গুজরাটের মোরবিতে সেতু ভেঙে ১৪১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজনৈতিক মহল। এই ইস্যুতে সে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে বিঁধে টুইট করেছিলেন সাকেত গোখলে। আর গুজরাটের নির্বাচন মিটতেই সেই মামলায় তাঁর গ্রেপ্তার হওয়াকে প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছে তৃণমূল শিবির। বিজেপি ভয় পেয়েই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে এদিন টুইটে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাকেত গোখলের সাহসের প্রশংসা করে অভিষেক লিখেছেন, “বিজেপি যদি মনে করে এসবে ভয় পেয়ে আমরা মাথা নত করব তাহলে এটা তাদের মূর্খামি।” গ্রেপ্তারির সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। জানা গিয়েছে, সাকেতকে আইনি সহায়তা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে দলের তরফ থেকে। আপাতত সাকেতের দুদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
2. নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির জেরে আরও বিপাকে কমিশন। বেআইনি সুপারিশে হওয়া ১৮৩টি চাকরির খোঁজ পাওয়ার পরে, আরও ৪০টি বেআইনি নিয়োগের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। তাদের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওএমআর শিট দেখার প্রশ্নে এর আগে কমিশন জানিয়েছিল, আসল ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সুতরাং নবম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে কি না তা বুঝতে গাজিয়াবাদ হার্ড ডিস্ক ও সল্টলেক হার্ড ডিস্ক মিলিয়ে দেখার কথা হয়। এদিন আদালতে দেখা যায়, গাজিয়াবাদের হার্ড ডিস্ক অনুযায়ী দশজন শূন্য পেয়েছেন, যাঁদের নম্বর কমিশনের সার্ভারে ৫৩ হয়েছে। ১-২ নম্বর পাওয়া একাধিক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও একইভাবে নম্বর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১-৫২। এমনকি ওয়েটিং লিস্টে ২০ জন চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও নম্বর ৯ থেকে বেড়ে ৪৯ হয়েছে। এদিন বেআইনি চাকরি সুপারিশের প্রমাণ দেখে বিচারপতির সাফ বক্তব্য, কমিশনের কর্মীদের সূত্রেই দুর্নীতি হয়েছে। এটা কোনও ভূতুরে কাণ্ড নয়। এরপরই বেআইনি ভাবে নিযুক্ত এই ৪০ জনের নামের তালিকা, এবং ওএমআর শিট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।