উৎসবের মরশুমে আন্দোলন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত। দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন। ডেডলাইন পেরোতেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের। নাবালিকার ধর্ষণ-খুনে রণক্ষেত্র জয়নগর। পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন, বিধায়ক-সাংসদকে হেনস্তা জনতার। খুনের কথা স্বীকার ধৃতের, জানাল পুলিশ। ইলেক্টোরাল বন্ড অসাংবিধানিকই। চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের পুরনো নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। মামলা পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ শীর্ষ আদালতে। গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর পর জেলমুক্তির পথে সায়গল হোসেনও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 অক্টোবর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে শীঘ্রই ঘোষণা মমতার, কুণালকে জানালেন দেব
বিস্তারিত খবর:
1. ১০ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। এদিন নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরনোর পরই এই ঘোষণা করেন তাঁরা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধরনায় বসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু উৎসবের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে ধরনা কর্মসূচিতে অনুমোদন দেয়নি কলকাতা পুলিশ। ই-মেলে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, ধরনা কর্মসূচিতে এমনিই ভিড় বেশি হওয়ার কথা। তার উপর পুজোর কেনাকাটার জন্য ধর্মতলায় ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দর্শনও শুরু হয়ে গিয়েছে। ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই ধরনার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। তবে চিকিৎসক হেনস্তার ঘটনার যে অভিযোগ উঠেছিল, তাতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ই-মেল করে পুলিশ। তবে, শনিবারের সিদ্ধান্তে আন্দোলন অন্যদিকে মোড় নিল। আর জি করের ঘটনার ৪১ দিনের মাথায় প্রথম দফায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আংশিকভাবে কাজে ফিরেছিলেন তাঁরা। তবে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের পর দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। শুক্রবার এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধরনায় বসেন তাঁরা। শনিবার রাত সাড়ে আটটার মধ্যে স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ-সহ ১০ দফা দাবিপূরণ না হলে আমরণ অনশনের পথে হাঁটবেন বলে জানিয়েই রেখেছিলেন। সেই পথেই এগোলেন আন্দোলনাকারী চিকিৎসকরা।
2. নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রণক্ষেত্র জয়নগর। মহিষমারি ফাঁড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দিল জনতা। অবস্থান বিক্ষোভ তুলতে গিয়ে প্রহৃত স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলকেও শুনতে হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। দেখানো হয় জুতো।
জয়নগরের মহিষমারির কৃপাখালির বাসিন্দা, চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া এক শিশুকন্যার নিথর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই অগ্নিগর্ভ এলাকা। স্থানীয়দের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তেজিত স্থানীয়রা। বারুইপুরের এসডিপিও-কে লাঠি হাতে ধাওয়া করেন মহিলারা। তবে ঘটনায় এক যুবককে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের বক্তব্য, খুনের কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেনি অভিযুক্ত।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।