পঞ্চায়েতের আগে মিলল কেন্দ্রের বকেয়ার একাংশ। সর্বশিক্ষা অভিযানে ৯৫৫ কোটি বরাদ্দ দিল্লির। ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে জারি অনিশ্চয়তা, তোপ কুণালের। লটারি কাণ্ডের তদন্তে তৎপর সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে আসানসোল জেলে আধিকারিকরা। ‘অনুব্রত বাঘ, ওকে আটকে রাখা যাবে না’, বার্তা ফিরহাদের। সরশুনায় প্রকাশ্যে ৬ জনকে কোপ ধারালো অস্ত্রের। ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি বিজেপি বিধায়কের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 4 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বাড়ছে আতঙ্ক, এবার ডেঙ্গুর বলি বেলেঘাটা ID হাসপাতালের সহকারী সুপার
আরও শুনুন: 3 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- মিছিলে বন্দুকবাজের হামলা, গুলিবিদ্ধ ইমরান খান
বিস্তারিত খবর:
1. পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের বকেয়ার একাংশ হাতে এল রাজ্যের। নবান্ন সূত্রের খবর, সর্বশিক্ষা অভিযানের খরচ বাবদ ৯৫৫ কোটি টাকা পাঠিয়েছে দিল্লি। প্রায় ৫ মাস পর এই টাকা পাওয়ার পরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের তরফে নতুন শিক্ষানীতির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে অধিকাংশই কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে মিলে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। মাস তিনেক আগে দিল্লি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়ার হিসেব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর উৎসবের মরশুম কাটতে না কাটতেই বকেয়ার খানিকটা অংশ পৌঁছল রাজ্যের হাতে। যদিও ১০০ দিনের বকেয়া টাকা নিয়ে কোনও খবর এখনও মেলেনি কেন্দ্রের তরফে। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের টাকা আদায় না হলে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। এদিকে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেই বিজেপিকে ফের বিঁধেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
2. লটারি কাণ্ডের তদন্তে তৎপর সিবিআই। এবার অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে শনিবার টানা জিজ্ঞাসাবাদ করল চার সিবিআই আধিকারিকের দল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ছবির সূত্রে জানা যায়, লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে তদন্তে উঠে এসেছে, অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটারির টিকিটটি কেনা হয়েছিল বোলপুরের একটি এজেন্সি থেকে। সেই এজেন্সির মালিক শেখ রাহুল। কিন্তু লটারিটি ভাঙানো হয়েছিল গাঙ্গুলি এজেন্সি থেকে। মনে করা হচ্ছে, এভাবেই গরু পাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছিল। ওই এজেন্সির মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যেই নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। লটারির রহস্যভেদ করতে তাই এবার খোদ অনুব্রত মণ্ডলকেই জেরা করলেন গরু পাচার মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য-সহ চার প্রতিনিধির দল। এদিকে শনিবারই রামপুরহাটের এক জনসভা থেকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল বাঘ। ওঁকে চিরকাল খাঁচায় আটকে রাখা যাবে না।” পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে না থাকলেও, দল যে অনুব্রতর পাশেই আছে, এই ইঙ্গিতে তা আরও স্পষ্ট হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।