সন্দেশখালিতে দুর্নীতির তদন্তে ইডি, আক্রান্ত আধিকারিকেরা। ‘সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে’, সরব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।ক্ষোভপ্রকাশ রাজ্যপালের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদক্ষেপের আর্জি শুভেন্দু-সুকান্তর। রাজ্যে প্রত্যাহার রেশন ধর্মঘট। বছরের প্রথমেই লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি। শীতের আমেজ কাটিয়ে ফের তাপমাত্রা বাড়ল রাজ্যে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা। প্রকাশিত টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 4 জানুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ ‘কালীঘাটের কাকু’, মিলল না স্বস্তি
বিস্তারিত খবর:
1. রেশন দুর্নীতির তদন্তে জ্যোতিপ্রিয়-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত ইডি আধিকারিকেরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ তথা সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযান ঘিরে তুলকালাম এলাকা। চক্রান্ত করে তল্লাশি করা হচ্ছে, অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেতার অনুগামীরা। অভিযোগ, ইডির আধিকারিকদের মারধর করা হয়, ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় গাড়িতে। মাথা ফাটে এক আধিকারিকের। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে বাঁচেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। এদিকে বনগাঁয় জ্যোতিপ্রিয়-ঘনিষ্ঠ আরেক তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্যর বাড়ি, তাঁর শ্বশুরবাড়ি ও ম্যানেজারের বাড়িতেও এদিন তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।
এদিন নিয়োগ দুর্নীতির শুনানি চলাকালীন সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে সরব হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশ্ন তোলেন, “কেন এখনও রাজ্যপাল ঘোষণা করছেন না যে, রাজ্যের সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? যদি তদন্তকারীরাই মার খান, তাহলে তদন্ত হবে কী করে?” বিচারপতির এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে তৃণমূলের তরফে। তাঁকে পালটা দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, বিচারপতির চেয়ারকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখছেন বিচারপতি। “প্রধান বিচারপতির উচিত ওঁকে হাইকোর্ট থেকে বের করে রবিবার সিপিএমের ব্রিগেডে ছেড়ে দিয়ে আসা”, এহেন কটাক্ষেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা কুণাল ঘোষের।
2. সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে সাফ জানালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। একটি অডিও বার্তায় তিনি বলেন, “বাংলায় নানা সময়ে এধরনের জঙ্গলরাজ, গুন্ডারাজ ঘটছে। নির্বাচনের আগে ও পরে এসব ঘটে চলেছে। সরকারকে শক্ত হাতে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর সরকার যদি তা না করতে পারে, তাহলে সংবিধান সংবিধানের পথে চলবে।” হামলার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস। আহত ED অফিসারদের দেখতে এদিন হাসপাতালেও যান তিনি। রাজ্যপাল আরও বলেছেন, সংবাদমাধ্যমের উপর হামলা মানে গণতন্ত্রের উপর হামলা, আর তা মেনে নেওয়া যায় না।
এদিকে ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আক্রমণকারী অর্থাৎ তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের অনুগামীদের রোহিঙ্গা বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গোটা ঘটনাটি জানিয়ে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। তবে বিজেপিকে পালটা দিতে ছাড়েননি কুণাল ঘোষ। “তৃণমূলকে বেইজ্জত করতে তল্লাশির নামে অশান্তির প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে”, সন্দেশখালির ঘটনাকে দুঃখজনক বলেও পালটা তোপ কুণালের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।