কাটল বাম জমানার জট। কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপে অনশনে ইতি প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের। প্রকাশ নামের প্যানেল, শুরু হল নিয়োগপত্র দেওয়া। ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো জবকার্ডের কথা স্বীকার রাজ্যের। দাবি শুভেন্দুর। ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মমতা। ফের তৃণমূলকে বার্তা রাহুলের। জোট ক্ষমতা পেলে ৫০ শতাংশের বেশি জাতিগত সংরক্ষণের আশ্বাস নেতার। লিভ ইন সম্পর্ক রেজিস্ট্রি না করালেই জেল। অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতে যোগ নয়া ধারা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 5 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- চব্বিশে ৪০০ পার, লোকসভায় এনডিএর আসন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মোদি
বিস্তারিত খবর:
1. দীর্ঘ ১৫ বছর পর কাটল জট। প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে অনশনে ইতি টানলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপেই মিটল সমস্যা। ৩৬৪ জনের নামের প্যানেল প্রকাশ করে শুরু হল নিয়োগপত্র দেওয়া।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ১৮৩৪টি শূন্য পদ ছিল। আগেই ১৫০৬ জনের তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। তার মধ্যে ৫৭৬ জন চাকরিতে যোগ দেননি। বাকি যে ৩২৮ জন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৩১৪ জনের নাম উঠেছে নয়া তালিকায়। সঙ্গে আরো পাঁচ শতাংশ অর্থাৎ ৫০ জনকে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে। DPSC চেয়ারম্যান অজিত নায়েক প্যানেল প্রকাশ করার পর এদিন থেকেই শুরু হয়েছে নিয়োগপত্র দেওয়া। চাকরিপ্রার্থীদের অনশন প্রত্যাহারের পর কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, “ডায়মন্ড হারবারে অনশন, ধরনা তোলার অনুরোধে সাড়া দিলেন আন্দোলনকারীরা। এর পরেও যা বক্তব্য থাকবে তাঁরা চিঠি দেবেন। আইনি পরামর্শ নিয়ে তা বিবেচনা করবেন চেয়ারম্যান।” বাম জমানার জট এতদিন পর কেটে যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত চাকরিপ্রার্থীরা।
2. ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বা ভুয়ো জবকার্ড আছে বলে মেনে নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বিস্ফোরক দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারীর। তিনি জানালেন, ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০০ দিনের কাজের ‘বঞ্চিত’ শ্রমিকদের বকেয়া মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর শ্রমিকরা কীভাবে টাকা পাবেন, এ নিয়ে ইতিমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর জারি করেছে নবান্ন। মঙ্গলবার সেই নির্দেশিকার প্রতিলিপি প্রকাশ্যে এনেই শুভেন্দুর দাবি, “বিজ্ঞপ্তিতে ভুয়ো জব কার্ড, ভুয়ো অ্যাকাউন্টের কথা স্বীকার করা হয়েছে।”
এদিকে টাকা নয়ছয়ের দরুনই ১০০ দিনের বকেয়া মিলছে না রাজ্যের, এই দাবিতে বারে বারেই সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু রাজ্যের হিসেবনিকেশ নিয়ে কেন্দ্রের পাঠানো CAG রিপোর্টকে আগেই ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবিও নস্যাৎ করেছেন তিনি। এদিনই CAG রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনেও মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপি। কিন্তু আলোচনার দাবি খারিজ করে দেন স্পিকার। এরপরই হাতে পোস্টার, মুখে স্লোগান নিয়ে এই ইস্যুতে তদন্তের দাবি তোলেন বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করেন তাঁরা। তাঁদের বিক্ষোভের জেরে বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্য বিধানসভা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।