লোকসভা ভোটে ৪০০ আসন পাবে এনডিএ। সংসদে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাসী মোদি। অধীরকে সহানুভূতি, একহাত নিলেন কংগ্রেসকে। বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনই অশান্তি। বিধানসভার সামনে বিক্ষোভ SLST প্রার্থীদের। চাকরি জট খুলতে এজির সঙ্গে বৈঠক কুণালের। গ্র্যামির মঞ্চে বড় জয় ভারতের। পুরস্কৃত শঙ্কর-জাকিরের ব্যান্ড ‘শক্তি’, জোড়া গ্র্যামি রাকেশ চৌরাসিয়ারও। শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ হাসি ভারতেরই। ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে সমতা ফেরালেন রোহিতরা। WTC পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বরে উঠল দেশ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ২১ লক্ষ বঞ্চিতকে টাকা দেবে রাজ্য, ধরনা থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. এবারের লোকসভা নির্বাচনে চারশোরও বেশি আসনে জয়ী হবে এনডিএ জোট। আর বিজেপি একাই পাবে ৩৭০টি আসন। সংসদে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি খোদ নরেন্দ্র মোদির।
সোমবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের নিশানা করেন মোদি। পরিবারতন্ত্র নিয়ে হাত শিবিরকে জোর খোঁচা দেন তিনি। বলেন, “রাজনাথ সিংয়ের দল নেই, অমিত শাহেরও পার্টি নেই। কিন্তু এমন অনেক দল আছে যাদের চালায় একটা পরিবার। এর ফল ভুগেছে দেশ।” একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “অধীরবাবুকে দেখে কষ্ট হয়। তাঁকে পরিবারতন্ত্রের পুজো করতে হচ্ছে।” অর্থাৎ এই ইস্যুতে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটের অন্তর্কলহেও যেন কৌশলে ইন্ধন জুগিয়ে দিলেন মোদি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, লোকসভার আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘জমি ছাড়া’ নিয়ে বাংলার হাত শিবিরের নেতাদের সঙ্গে হাইকমান্ডের টানাপোড়েনকেই হাতিয়ার করলেন বিচক্ষণ প্রধানমন্ত্রী। যদিও তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে যে তিনি নিঃসন্দেহ, এদিন সংসদেই তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৩০০ আসনকে পাখির চোখ করেছিল এনডিএ শিবির। কিন্তু এবার বিরোধীদের বিরাট মার্জিনে হারিয়ে এনডিএ ৪০০-র গণ্ডি পার করবে, সাফ ঘোষণা মোদির। আর তৃতীয়বার সরকারে এসে ভারতকে তৃতীয় সর্ববৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত করা হবে বলেও ‘মোদি গ্যারান্টি’ দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।
2. রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনই বেনজির বিক্ষোভ। বিধানসভার ঠিক বাইরে বিক্ষোভে শামিল হলেন SLST চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগের দাবিতে পোস্টার, ব্যানার হাতে নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিও জানান। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে কড়া হাতে বিক্ষোভ দমন পুলিশের। টেনেহিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিকে চাকরি জট খোলার আর্জিতে এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল জানান, “SLST নবম-দশম শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা এই দুই বিভাগে কর্মপ্রার্থীদের যে জট রয়েছে, তা নিয়ে আন্দোলনকারীদের কিছু বক্তব্য রয়েছে। সেগুলি আজ সম্মাননীয় অ্যাডভোকেট জেনারেলকে জানিয়ে গেলাম। আলোচনা খুবই সদর্থক হয়েছে। বাকিটা আইনের ব্যাপার।” আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।