কলকাতায় শুরু ২৯তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। উদ্বোধনে রাজ্য সঙ্গীতে গলা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা সলমনের, হাজির বলি তারকারাও। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ফল বেরোতেই সংঘাত ইন্ডিয়া জোটে। মমতার পর কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দিতে নারাজ নীতীশ-অখিলেশও। ১০০ দিনের কাজে সর্বাধিক ভুয়ো জব কার্ড উত্তরপ্রদেশে। দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতাই। অপরাধের খতিয়ান দিয়ে ঘোষণা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর। নারী নির্যাতনের নিরিখে তালিকার শীর্ষে রাজধানী দিল্লি।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. অপেক্ষার অবসান। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে গেল ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেন বলিউড ও টলিউডের একঝাঁক তারকা। মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে এবার উদ্বোধনী মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের ভাইজান সলমন খান। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাংলায় ছবি করতে চাওয়ার আব্দারও জোড়েন তিনি। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কমল হাসান, অনিল কপূর, মহেশ ভট্ট, শত্রুঘ্ন সিন্হা, সোনাক্ষী সিন্হা। উৎসবের উদ্বোধনে রাজ্য সংগীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’-এ গলা মেলালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় সংগীতের মতোই রাজ্য সংগীতের সঙ্গেও উঠে দাঁড়ানোর কথা আগেই বিধানসভায় বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতোই এদিন গানের সময় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুর করা গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং ‘দীক্ষামঞ্জরী’-র ছাত্রছাত্রীরা। চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকেও বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ইন্ডিয়া এবং বাংলার জয়ধ্বনি দিয়েই এদিন সমন্বয়ের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ফলাফল বেরোতেই প্রকাশ্যে ইন্ডিয়া জোটের সংঘাত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যেতে নারাজ নীতীশ কুমার, অখিলেশ যাদবও। সম্ভবত তাঁদের অনুপস্থিতির কারণেই আপাতত স্থগিত বুধবারের বৈঠক। পরবর্তী বৈঠক হতে পারে ১৮ ডিসেম্বর।
তিন রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির আবহে তড়িঘড়ি ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতেই INDIA জোটের বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ভাবা গিয়েছিল, ব্যর্থতা ভুলে চব্বিশের নির্বাচনে ফের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নতুন করে লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে এই বৈঠক। কিন্তু এর মধ্যেই জোটের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তিন রাজ্যের নির্বাচনে ডাহা ফেলের জন্য কংগ্রেসের ‘দাদাগিরি’কে দুষেছে তৃণমূল। জোটের প্রস্তাব ফিরিয়ে কংগ্রেসের একা সর্বত্র লড়াই করার মনোভাবকেই হারের জন্য দায়ী করছে অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলিও। এদিকে উত্তরবঙ্গ সফরের দরুন বৈঠকে না যাওয়ার কথা আগেই স্পষ্ট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার জেডি(ইউ)-র নীতীশ কুমার এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবও বৈঠক এড়িয়ে গেলেন। সব মিলিয়ে তেইশের শেষে তিন রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি যে চব্বিশের আগে বিরোধী জোটে বড়সড় ফাটল ধরাচ্ছে, স্পষ্ট হয়ে গেল সে কথাই।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।