যাদবপুরে নিহত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে রাজ্য। সদ্য সন্তানহারা মাকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। মৃত ছাত্রের ভাইয়ের পড়াশোনার দায়িত্বও রাজ্যের। কসবায় স্কুলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দশম শ্রেণির পড়ুয়ার। ফের কর্মবিরতির পথে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। বাংলার ১৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন VC নিয়োগ আনন্দ বোসের। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরাতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে তৎপর রাজ্য সরকার। এবার আসরে মায়ানমারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নায়ক।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 সেপ্টেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ১০ জনেই ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের
আরও শুনুন: 2 সেপ্টেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- এশিয়া কাপে মহারণ, পাকিস্তানকে ২৬৭ রান তোলার চ্যালেঞ্জ দিল ভারত
বিস্তারিত খবর:
1. যাদবপুরে নিহত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের মাকে চাকরি এবং ভাইয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিলেন তিনি। সোমবার সদ্য সন্তানহারা বাবা-মায়ের সঙ্গে নবান্নে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার যাদবপুরের নিহত পড়ুয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে নবান্নে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সন্তানহারা বাবা-মায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের। ছেলের অকাল মৃত্যুর শোক এখনও টাটকা। কান্নায় ভেঙে পড়েন শোকস্তব্ধ অভিভাবকেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান দু’জনেই। নবান্ন সূত্রে খবর, নিহত ছাত্রের স্মৃতিতে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণ করা হবে। হাসপাতালে বসানো হবে তার মূর্তি।
নিহত পড়ুয়ার মাকে চাকরির আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বাড়ির কাছেই দেওয়া হবে চাকরি। নিহতের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ দেবে রাজ্য সরকার।
2. রাজ্যে ফের ছাত্রমৃত্যু। এবার কসবায় স্কুলের ৫ তলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল দশম শ্রেণির ছাত্রের। সোমবার বিকেলের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কসবার রথতলা এলাকায়। অভিযোগ, প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় মানসিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল স্কুলের তরফে। তার জেরেই ছাদ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রটি ঝাঁপ দেয়। স্কুল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রের নাম শেখ শান। কসবার এক বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। সোমবার তার প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটি প্রজেক্টের খাতা সে নিয়ে যায়নি। যার জেরে ক্লাসের দুই শিক্ষিকা তাকে বকাঝকা করেন বলে খবর। এমনকী, কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয়েছিল শেখ শানকে। এরপর সে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায় বলে পরিবারের দাবি। কেন স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রের গতিবিধির দিকে নজর রাখল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ার পরিবার। পরিবারের আরও অভিযোগ, প্রথমে স্কুল থেকে বলা হয়েছিল তাদের ছেলে সিঁড়ি থেকে পরে গিয়েছে। মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভরতি করা হয়েছে। কিন্তু পরিবারের লোক সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, ৫ তলা থেকে পড়লে ছেলের হাড় ভাঙার কথা। কিন্তু তার সারা শরীরে কোনও চোট নেই। শুধুমাত্র নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। যদিও এনিয়ে স্কুলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে রহস্য দানা বাঁধছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।