সন্দেশখালি কাণ্ডে নয়া মোড়। টাকা-মদের বিনিময়ে ‘সাজানো ঘটনা’, দাবি স্টিং ভিডিওতে। ঘটনায় বিজেপিকে তুলোধোনা অভিষেকের। কলকাতার দপ্তরে কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে ডেরেক ও’ব্রায়েন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তদন্তে জোর লালবাজারের। সোম ও মঙ্গলবার বাংলা জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কমবে তাপমাত্রাও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, থানায় রাজভবনের মহিলা কর্মী
বিস্তারিত খবর:
1. ভোটের আগে সন্দেশখালি কাণ্ডে নয়া মোড়। ভাইরাল ‘স্টিং’ ভিডিওতে দাবি, সন্দেশখালির ‘ধর্ষণে’র অভিযোগ সাজানো। সেই ভিডিও-কে হাতিয়ার করে শনিবার তৃণমূল ভবন থেকে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলতি বছরের শুরু থেকেই উত্তপ্ত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালি। রেশন দুর্নীতির তদন্তের সূত্রে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে জমি দখল, ধর্ষণ সহ একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। জাতীয় মহিলা কমিশনও পদক্ষেপ করেছে। এবার সেই কাণ্ড নিয়েই ভিডিওতে স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, পুরো বিষয়টি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে। ‘খালি হাতে নয়’, টাকা-মদের বিনিময়ে এই সমস্ত কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। এরপরই সন্দেশখালি কাণ্ডকে ‘বাংলাকে ছোট করার নির্লজ্জ চক্রান্ত’ বলে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ শানালেন অভিষেক। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটবাক্সে এর প্রভাব পড়বে বলেও দাবি করেছেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’। তবে শুধু বিজেপিই নয়, বিচারব্যবস্থার একাংশও বাংলাকে ছোট করার জন্য দায়ী বলে তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিকে ওই কণ্ঠস্বর তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতাও। একে তৃণমূলের চক্রান্ত বলে তদন্তের দাবিতে সিবিআইকেও চিঠি দিলেন গঙ্গাধর কয়াল।
2. পদ থেকে বিদায়ের পরবর্তী টানাপোড়েনের মধ্যেই এবার বৈঠক কুণাল ঘোষ ও ডেরেক ও’ব্রায়েনের। শনিবার ডেরেকের বেকবাগানের দপ্তরে আধঘণ্টার বৈঠকে ছিলেন কুণাল ঘোষ। সেখানে ছিলেন ব্রাত্য বসুও। এর পরই ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, তবে কি তিক্ততায় ইতি টানতেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর ‘মধ্যস্থতা’য় দুপক্ষের বৈঠক? যদিও ‘মধ্যস্থতা’র কথা মানতে নারাজ রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মুখপাত্র ব্রাত্য বসু।
এদিনই X হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পাশাপাশি বসে থাকা ছবি পোস্ট করেছিলেন কুণাল ঘোষ। পরে ব্রাত্য বসুর গাড়িতেই ডেরেকের দপ্তরে যান তিনি। ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ আলোচনা সেরে বেরিয়ে ফের গানের সুরে শোনান, ‘আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে।’ সঙ্গে এ কথাও জানিয়ে দেন, “তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব।” তবে আলোচনায় তাঁর অভিমান মিটেছে কি? দলেও কি হারানো পদ ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে? সে প্রসঙ্গ এখনই স্পষ্ট করেননি কুণাল ঘোষ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।