মমতাকে কুরুচিকর আক্রমণের অভিযোগে গ্রেপ্তার। সাড়ে আট ঘণ্টা পরই জামিন কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচির। দলের উলটো সুরে গ্রেপ্তারির বিরোধিতা কুণালের।গরু পাচার মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে বড় জরিমানা অনুব্রত মণ্ডলের। অ্যাডিনোর আবহেই থাবা বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়াও। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে ফের মৃত্যু ৩ শিশুর। ৫ আসন নিয়েই সরকার গড়ার ‘ছক’ মুকুল সাংমার। হোলিতেও জেলবন্দি থাকতে হবে মণীশ সিসোদিয়াকে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- মিলল না রক্ষাকবচ, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে বাধা নেই ইডির
বিস্তারিত খবর:
1. সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণের জেরে বিপাকে আইনজীবী তথা কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি। শনিবার তাঁর বারাকপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নেতাকে গ্রেপ্তার করে বড়তলা থানার পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। অবশ্য এদিনই ১ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন নেতা। তবে থানায় হাজিরা দিতে হবে প্রতিদিনই। পুলিশ কৌস্তভকে ৮ দিনের হেফাজতে চাইলেও তাদের আরজি খারিজ করে দেয় আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী কাল।
কংগ্রেস নেতার গ্রেপ্তারিতে চড়েছে রাজ্য রাজনীতির পারদ। পুলিশি ধরপাকড়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতে, এ রাজ্যে যে কারও স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার নেই, তা স্পষ্ট। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন পুলিশি পদক্ষেপকে সমর্থন জানালেও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্টই জানিয়েছেন, কৌস্তুভ অন্যায় করেছে। মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে ওই ধরণের চরম কুৎসা বরদাস্ত করা যায় না। কিন্তু পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার ঠিক হল না।” কৌস্তভ বাগচির গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে আদালতে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরাও। জামিনে পেয়েই মাথা মুড়িয়ে নয়া চমক দেন কংগ্রেস নেতা। মমতাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত না করা অবধি চুল বাড়তে দেব না, ঘোষণা কৌস্তভ বাগচির।
2. গরু পাচার মামলায় কলকাতা হাই কোর্টেও স্বস্তি মিলল না তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। দিল্লি যাওয়ার বিরোধিতা করে তাঁর আবেদনে রক্ষাকবচ দিল না বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বিশেষ বেঞ্চ। ফলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে কার্যত বাধা রইল না ইডি-র। উলটে দিল্লি এবং কলকাতা, দুটি হাই কোর্টে একই আবেদন জানানোর জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারপতি। এই রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা খোলা থাকছে অনুব্রতর। তবে আবেদনের সময় নিয়ে সংশয় থাকছেই।
দিল্লি যাওয়া আটকাতে একাধিকবার একাধিক আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই ইস্যুতে শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি দিয়েছেন তিনি। আগেই তাঁর আরজি খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। এদিন শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। কিন্তু অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ায় ইডির উপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাই কোর্টও। তবে শর্ত আরোপ করা হয়েছে, কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকদের অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। আর সেখানে ফিট সার্টিফিকেট মিললেই নেতাকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।