ভোটকেন্দ্র ও বুথে পুলিশের সঙ্গে থাক কেন্দ্রীয় বাহিনীও। ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে মত হাই কোর্টের। ভোটযুদ্ধ থেকে বাদ ৮২ জন ISF প্রার্থী। দিনহাটায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২ শিশু-সহ মোট ৪ জন। সন্ত্রাস প্রসঙ্গে দ্বিচারিতা নয়। এসসিও বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মোদির। মোদি পদবি মামলায় স্বস্তি রাহুলের। বিশ্বকাপজয়ী মার্টিনেজকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ভাসল কলকাতা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- এবার ফাটল এনসিপিতে, বিজেপি-শিব সেনা সরকারে যোগ অজিত পওয়ারের
বিস্তারিত খবর:
1. পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ও বুথ চত্বরে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন থাক কেন্দ্রীয় বাহিনীও। ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে এমনটাই মত কলকাতা হাই কোর্টের। এই পরিস্থিতিকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে চিহ্নিত করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যদি প্রতি ভোটগ্রহণ চত্বরে দুই বাহিনীর দুজন করে প্রতিনিধি দেওয়া যায়, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে। এদিকে রাজ্যের ডিজি মনোজ মালব্যের বক্তব্য, ভোটহিংসা আপাতত নিয়ন্ত্রণে। মঙ্গলবার বিহার ও ঝাড়খণ্ডের ডিজি সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর সাফ দাবি, এই রাজ্যে বড় ধরনের কোনও হিংসার ঘটনা হয়নি।
ভোটকেন্দ্রে পোলিং অফিসারদের নিরাপত্তার দাবিতে মামলা করেছিল শিক্ষকদের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আরজি জানিয়েছিল মঞ্চ। সেই প্রেক্ষিতেই এই পরামর্শ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের। বাহিনী ভাগাভাগি ও নিরাপত্তার বিষয়টির দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার বিএসএফের আইজি। পুলিশ ও বাহিনীর অনুপাত কী হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই। ইতিমধ্যেই হাই কোর্টের নির্দেশে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে দুজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে কমিশন।
2. ভোটের আগে ফের বাতিল মনোনয়ন। এবার পঞ্চায়েতের লড়াই থেকে ছিটকে গেলেন ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। মনোনয়ন পর্বের শেষদিনে ভাঙড়ের অশান্তির জেরে মনোনয়ন পেশ করতে পারেননি অনেকেই। আবার কারও কারও দাবি, স্ক্রুটিনির পর কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে আচমকাই বাদ যায় তাঁদের নাম। এরপরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ভাঙড়ের বাম ও আইএসএফ প্রার্থীরা। সেই মামলায় হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, অভিযোগ বৈধ হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিতে হবে এই প্রার্থীদের। যার বিরোধিতা করেছিল কমিশন ও রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৫ দিন পর ফের এই মামলার শুনানি।
এদিকে সৌদি আরবে বসে মিনাখাঁয় মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন যে তৃণমূল প্রার্থী, তদন্ত করে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে এদিন আদালতে জানিয়েছে কমিশন। এই ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেই মত বিচারপতি সিনহার। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের কার্যকলাপও সন্দেহজনক বলে মত বিচারপতির। সিসিটিভি-সহ যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৯ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।