নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অগ্রগতি। পার্থর বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের। জেল থেকে বেরিয়ে পদ ফিরে পেলেন অনুব্রত। গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্বহাল কেষ্ট। আসন্ন বাজেটে কৃষিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার পথে মোদি সরকার। সিডনিতে সম্মানরক্ষার লড়াই কোহলিদের। চোট বুমরাহের, একা লড়াই পন্থের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চার্জশিট পেশের অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল। শনিবার সেই চার্জশিট গ্রহণ করেছে আদালতও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দু বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এরমধ্যে একাধিকবার জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেনও হয়েছেন তিনি। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় এবং অয়ন শীলের বিরুদ্ধে ২৭ ডিসেম্বর সেকেন্ড সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট ফাইল হয়। এদিন তৃতীয় সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে রাজ্যপালের অনুমোদন না পেলে আদালত চার্জশিট গ্রহণ করতে পারত না। এদিন সেই অনুমোদন মিলেছে। ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার চার্জগঠন শুরু করতেই পারে আদালত। অন্যদিকে, রেশন দুর্নীতি মামলায় আদালতের তোপের মুখে ইডি। তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সাক্ষীকে অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। বিচারকের কথায়, একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বেতন ঠিক করে দিতে পারে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
2. নতুন বছরের শুরুতে সুখবর পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি পদে পুনর্বহাল করা হল তাঁকে। এই মর্মে নবান্ন থেকে চিঠি পেয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। আগেও তিনি এই পদে ছিলেন। জেলবন্দি থাকায় ওই পদ ফাঁকাই রাখা হয়েছিল গত দুবছর। জামিন পেয়ে জেলায় ফেরায় ফের অনুব্রতকে সরকারি পদে আনা হল।
গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এবং বিভিন্ন প্রকল্প এই পর্ষদের আওতায় হয়ে থাকে। সে অর্থে বেশ গুরুত্বপূর্ণ গ্রামোন্নয়ন বিভাগের এই পদ। ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা SRDA-র চেয়ারম্যান ছিলেন অনুব্রত। এরপর করোনাকাল ও নির্বাচনের কারণে এই পদে নতুন করে কাউকে আনা হয়নি। তারপর গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন কেষ্ট। ২০২৪ সালে অক্টোবরে জামিনে মুক্ত হন। তার কয়েকমাসের মধ্যেই পুনরায় আগের পদে বহাল হলেন কেষ্ট। এ বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা জানান, আগেও তিনি গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আবারও ফিরে এলেন সেই পদে। এবার থেকে আর কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতিতে কোনও বাধা নেই। এতে মনে করা হচ্ছে, আগের গুরুত্ব ফিরে পাচ্ছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।