চার দিনের সফরে দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা ভাগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।ঝাড়খণ্ড ইস্যুতে সিআইডির হাতেই তদন্তভার। ম্যাকাউটের উপাচার্যকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে কাজে ফেরানোর নির্দেশ। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় হাওয়ালা যোগের সন্দেহ। দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন উদয় উমেশ ললিত। ফের কমনওয়েলথে পদক জয় বাংলার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- মমতার মন্ত্রিসভায় রদবদল, পাঁচ পূর্ণমন্ত্রী-সহ দায়িত্ব পেলেন ৯ জন
বিস্তারিত খবর:
1. প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ‘নীতি আয়োগের’ বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই দিল্লি পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে এক সান্ধ্য চা-চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন দলীয় সাংসদদের উদ্দেশে দলনেত্রী জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের জনবিরোধী ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচী অনুযায়ী, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। এর আগেই তিনি রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, একশো দিনের কাজের বেতন সাতমাস বন্ধ, বাংলা আবাস যোজনার টাকা বন্ধ, নানাভাবে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার বাংলা। প্রয়োজনে দিল্লি গিয়ে দরবার করার কথাও জানিয়েছিলেন। সেইমতো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আসন্ন বৈঠকে এই বিষয়গুলিই উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই দিনই নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে মমতার। পাশাপাশি এই সফরে দিল্লিতে আসছেন সমস্ত বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরাও। তাঁদের সঙ্গে মমতার বিরোধী জোট নিয়ে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী শনিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা। দেখা হতে পারে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে মমতার এই দিল্লি সফর যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
2. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। এমনকী মমতাকে লেডি বিন তুঘলক বলেও তোপ দাগলেন তিনি। বৃহস্পতিবার জেলাভাগ প্রসঙ্গে টুইট করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, “স্থানীয়দের আবেগকে গুরুত্ব না দিয়ে ৭ টি নতুন জেলা তৈরি করা লেডি বিন তুঘলকের খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত। এটা অত্যাচারী শাসনের উদাহরণ।” তিনি আরও লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ এমনিতেই ঋণের বোঝায় জর্জরিত। তার মাঝে এই জেলা বাড়ানোয় ঋণের বোঝাও বাড়বে। দুর্নীতির বিকেন্দ্রীকরণের নতুন রাস্তা খুলবে।” রাজ্য বিজেপির সভাপতির মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে শাসকদল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “বাংলার উন্নয়নের কাজ ত্বরান্বিত করতে মুখ্যমন্ত্রী জেলা ভাগ করেছেন। বিজেপির সেটাতে তুলঘলকি আচরণ মনে হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।” একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, জেলা ভাগ যদি তুঘলকি আচরণ হয়ে থাকে, তাহলে জিএসটি লাগু, নোটবন্দি এগুলি তুঘলকি আচরণ নয়? সব মিলিয়ে জেলাভাগকে কেন্দ্র করে এখন তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।