এক দেশ, এক দল-ই বিজেপির নীতি। কোচবিহার থেকে ‘এজেন্সিরাজ’ নিয়ে তোপ মমতার। টর্নেডোর ত্রাণ আটকানো নিয়ে বিঁধলেন কমিশনকেও। CAA লাগুর পর রাজ্য সফরে মোদি। সব পরিবারকে নাগরিকত্বের গ্যারান্টি প্রধানমন্ত্রীর। সন্দেশখালি মামলায় রাজ্যকে তুলোধোনা হাই কোর্টের। শাহজাহানের গ্রেপ্তারিতে বিলম্ব নিয়ে ভর্ৎসনা আদালতের।জেলবন্দি হয়েও স্বস্তি আপ সুপ্রিমোর। কেজরির পদ কেড়ে নেওয়ার আর্জি খারিজ করল দিল্লি হাই কোর্ট।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রেয়াত করা হবে না, বীরভূম থেকে কড়া বার্তা অভিষেকের
বিস্তারিত খবর:
1. দেশের বিরোধী পরিসর সংকুচিত করে একদলীয় গণতন্ত্র চাইছে বিজেপি। মাথাভাঙার সভা থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর অভিযোগ, “বিজেপির একটাই নীতি। ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি।” ভোটের মুখে, এমনকী নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হওয়ার পরও যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি বিরোধী নেতৃত্বকে নিশানা করছে, তা নিয়ে সরব হলেন মমতা। তাঁর দাবি, আসলে বিজেপিতে যোগ না দিলে গ্রেপ্তারের ভয় দেখাচ্ছে এজেন্সি। এই পরিস্থিতিতে শাসক ও বিরোধীদের লড়াই অসম হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেদিকে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মমতা দাবি করলেন, বিজেপির শাসন মানে আসলে এজেন্সিরাজ। একইসঙ্গে বিজেপিকে বিঁধতে শীতলকুচির আবেগ উসকে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি মনে করালেন, কোচবিহারের সেই রক্তক্ষয়ী ঘটনার সময়ে থাকা এসডিপিও দেবাশিস ধরকে রাজ্য ক্লিনচিট দেয়নি, অথচ তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে নিশানা করেও একই সুরে মমতা বলেন, “আমাদের দলের আপদ, বিজেপিতে সম্পদ।”
এদিকে টর্নেডোয় লন্ডভন্ড জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বিধ্বস্ত মানুষদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু নির্বাচনী বিধি কার্যকর থাকায় টাকা দেওয়ার জন্য কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছে নবান্ন। সেই অনুমতি মেলেনি এখনও। বৃহস্পতিবার সেই ইস্যুতেই ফুঁসে উঠে মমতা বলেন, “কেন আটকে রেখেছেন? বিজেপি বললে তার পর ছাড়বেন?” এই ইস্যুতে কমিশনকে দেরি না করার জন্য অনুরোধ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. CAA লাগু হওয়ার পর প্রথমবার বাংলায় নরেন্দ্র মোদি। “সব পরিবারকে নাগরিকত্ব দেওয়া মোদির গ্যারান্টি”, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর। সিএএ নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যে। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, সিএএ-এর জন্য আবেদন করলেই নাগরিকরা নাগরিকত্ব হারাবেন, অনুপ্রবেশকারীতে পরিণত হবেন। এই পরিস্থিতিতে মোদির কটাক্ষ, ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল ও বামেরা। তাঁর আশ্বাস, “আপনারা ১০ বছর আমার কাজ দেখেছেন। আপনারা মোদির গ্যারান্টিতে নিশ্চিন্তে ভরসা করতে পারেন।” যদিও তিনি বলেন, তাঁর ১০ বছরের শাসনকাল শুধুই ট্রেলার, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও অনেক কাজ বাকি। এই প্রসঙ্গেই মোদি আরও বলেন, উদ্দেশ্য সঠিক হলেই পরিণাম সফল হয়। আর তিনি এত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কারণ তাঁর উদ্দেশ্য সঠিক। গত দশ বছরে বিজেপির অ্যাজেন্ডা মেনে বেশ কয়েকটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেও, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার মতো কতগুলো জটিল প্রক্রিয়া এখনও বাকি। মোদি সেই অ্যাজেন্ডা পূরণের ইঙ্গিতই দিলেন কি না, আশঙ্কা দানা বাঁধছে বিরোধী শিবিরে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।