অমর্ত্য সেনের জমি-বিতর্কে ফের বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য। বিশ্বাস নেই রাজ্যের দেখানো নথিতে, জানিয়ে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীকে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ুয়াদের। প্রতিবাদীদের পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। মালদহে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি ও ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। নাম না করে তোপ শুভেন্দুকে। ২০৪৭ সালের মধ্যেই দারিদ্র্যমুক্ত হবে ভারত। বাজেটের আগে বার্তা রাষ্ট্রপতির। ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলাকে চিনতে রাজ্যপালের ‘একতা যাত্রা’, সূচনা দক্ষিণেশ্বর থেকে
বিস্তারিত খবর:
1. বিশ্বভারতীর জমি বিতর্কে ফের সরব উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার তাঁর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই নথি দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। কেননা নথি অনুযায়ী বিতর্কিত জমির মালিক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদই। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ বিশ্বভারতীয় উপাচার্য। এ বিষয়ে তাঁর পালটা দাবি, “রাজ্যে কীভাবে কাগজ তৈরি হয়, সেটা সবাই জানে। ওই নথি বিশ্বাস করি না। যে কাগজ দেখানো হয়েছে, তার কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।” তাঁর মতে, রাজ্য যে কাগজ দেখাচ্ছে তা অমর্ত্য সেনের বাবার সময়কার। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ২০০৬ সালে ১.২৫ একর জমি মিউটেশন করা হয় অমর্ত্য সেনের নামে। সেখানে প্রতি ডেসিমেল জমির জন্য ৫ হাজার টাকা করে কর দিয়েছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গ টেনেই উপাচার্য বলেন, অমর্ত্যবাবু যদি সেইসময় জানাতেন তাঁর কাছে ১.৩৮ একর জমি রয়েছে, তাহলে সেই অনুযায়ী কর নেওয়া হত। তাই বর্তমানে তাঁর দাবি, “এনিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করে জমির মাপজোক করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকুন, অমর্ত্য সেন থাকুন, আমরাও থাকি। তাহলে ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে আক্রমণ প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আমাকে আক্রমণ করেছেন, তাতে তাঁর বোঝা উচিত বিশ্বভারতীর উপাচার্য ঠিক করে কেন্দ্রীয় সরকার। পুরো বিষয়টিতে বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের ক্ষতি হচ্ছে।” অন্যদিকে তাঁর এই মন্তব্যের পালটা দিয়েছে তৃণমূলও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,”অমর্ত্য সেনকে অপমান করলে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিনের রাজনৈতিক ইতিহাস যেন উনি মনে রাখেন।” তবে এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরেও উপাচার্যের আপত্তির বিষয়টিকে দুঃখজনক বলেই মনে করেছেন তিনি।
2. মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন আশ্রমিকরা। বুধবার বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, আশ্রমিক এবং অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সব অব্যবস্থার কথা শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। কখনও পড়ুয়াদের হেনস্তা করা হচ্ছে। এমনই সব অভিযোগ এনেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। সব শোনার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওদের হৃদয় নেই, বিশ্বভারতীতে যা যা হচ্ছে এগুলি কাম্য নয়।’ মমতা বলেন, ‘বিশ্বভারতী আন্তর্জাতিক সংস্থা। কিন্তু আজ আমি যা যা শুনলাম। সেটা কোনওভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে ছাত্রছাত্রী শিক্ষক, প্রাক্তনী, আশ্রমিক সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে।” এদিন পড়ুয়াদের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অভিযোগের কথা জানান। তাঁরা অভিযোগ করেন নানাভাবে তাঁদের হেনস্তা করা হচ্ছে। অভিযোগ শুনে তিনি বলেন, “যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাদের যাতে কেরিয়ারের অসুবিধা না হয় তা তিনি দেখবেন।” মমতা এদিন আশ্বাস দিয়েছেন যে, আশ্রমিক -সহ সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন তিনি। যে ভাবে ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে তা ঠিক হয়নি। তাদের উপর অত্যাচার চলছে। এতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শ নষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গৈরিকীকরণের জন্য কেউ যদি চাপ দিতে থাকে বা মেরুকরণের চেষ্টা করে, তাহলে তিনি প্রতিবাদীদের পাশেই থাকবেন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।