ডেঙ্গু নিধনে কড়া রাজ্য। ‘আর একটাও মৃত্যু নয়’, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃষ্টি নিয়েও আগাম সতর্কতা, জারি নির্দেশিকা। আর সরকারি আর্থিক সাহায্য পাবে না বাংলার কোনও ক্লাব। নয়া সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। ‘বাংলার বকেয়া আনবই’, দিল্লি অভিযানের আগে মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। জটিলতা কাটিয়ে শপথ ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়কের। কারও ধর্মে আঘাত করবে না অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। এশিয়াডে ফের একাধিক পদক ভারতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 সেপ্টেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘দিল্লি চলো’র দিনেই অভিষেককে তলব ইডির, কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলের
বিস্তারিত খবর:
1. ডেঙ্গু নিধনে আরও কড়া রাজ্য সরকার। ডেঙ্গুতে আর কোনও মৃত্যু নয়, মুখ্যসচিবের বৈঠকে এমনটাই সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, শুধু স্বাস্থ্য নয়, সকল দপ্তরকেই সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার জেলাশাসক, সিএমওএইচদের নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব। বৈঠক চলাকালীন ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বার্তা,”আরও বেশ কিছু দিন বৃষ্টি চলবে। তাই সতর্ক থাকতে হবে সব জেলাকে। বিশেষ করে উপকূলীয় জেলাগুলোতে। ডেঙ্গু নিধনে ভালো কাজ হচ্ছে। তবে ধারাবাহিকতা রাখতে হবে।” সূত্রের খবর, পুজোর আগেই রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই মুখ্যসচিব, পুর ও নগরোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ১২৮টি পুরসভার কাউন্সিলরদের ডেঙ্গু নিয়ে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে অন্তত দুটি করে বৈঠক করতে হবে। সচেতনতার কর্মসূচি নিতে হবে। সেগুলি পুরপ্রধানকে জানাবেন কাউন্সিলর। পুরসভার পক্ষ থেকে তা জেলাশাসক এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামীর রূপরেখা ঠিক হবে। প্রত্যেক পুরসভাকে ফিভার ক্লিনিক চালু করতে হবে। পুর হাসপাতালে ১০টি করে শয্যা বরাদ্দ রাখতে হবে ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য। ২৪ ঘণ্টা রক্তপরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। সবমিলিয়ে মশাবাহিত এই রোগ থেকে বাংলাকে বাঁচাতে রীতিমতো তৎপর রাজ্য সরকার।
2. পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য় ক্লাবগুলিকে আর আর্থিক অনুদান দেবে না রাজ্য় সরকার। করোনা কালেই বন্ধ হওয়া অনুদান, নতুন করে আর চালু হবে না বলেই জানিয়েছে নবান্ন। সূত্রের খবর, অতীতে যে সমস্ত ক্লাব সরকারি অনুদান পেয়েছিল, তাদের মধ্যে অধিকাংশই খরচের হিসেব সঠিকভাবে দিতে পারেনি।
২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতার পালাবদলের পর বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল, সরকারের বাছাই করা কিছু ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম দফায় একলপ্তে ২ লক্ষ টাকা এবং পরবর্তী তিন বছর ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সেই নিয়ম মেনে করোনার আগে অবধি সাড়ে সাতশোর বেশি ক্লাবকে মোটা অঙ্কের আর্থিক অনুদান দিয়েছিল নবান্ন। যার দরুন প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল রাজ্যের কোষাগার থেকে। সরকারের এই অনুদানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। তবে করোনার কোপে সেই রীতিতে ছেদ পড়ে। ২০২০ সালে অতিমারীর জেরে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। এরপর কেটে গিয়েছে ৩ বছর। তবু অনুদান প্রক্রিয়া আর শুরু করেনি রাজ্য। এবার পুরোপুরি এই অনুদান প্রক্রিয়ায় ছেদ টানার পথে হাঁটছে নবান্ন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।