মোদির মতো ঘৃণাভাষণ করেননি কোনও প্রধানমন্ত্রী। খোলা চিঠিতে তোপ মনমোহন সিং-এর। প্রধানমন্ত্রী পদের অবমাননার অভিযোগে সরব কংগ্রেস নেতা। প্রচারের শেষ লগ্নে মোদির ধ্যান নিয়ে খোঁচা। ‘৪৮ ঘণ্টার জন্য পাবলিসিটি স্টান্ট’ বলে কটাক্ষ মমতার। রেশন দুর্নীতিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব ইডি-র। শনিবার থেকেই ঝড়বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলতে পারে টানা ৩-৪ দিন । অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গেও, জানাল হাওয়া অফিস।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ভোটের শেষ পর্বে কলকাতায় রোড শো মোদির, জোড়া পদযাত্রা মমতারও
আরও শুনুন: 29 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘অ্যারেস্ট করলে করো’, অভিষেককে পাশে নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. ঘৃণাভাষণ নিয়ে এবার নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মনমোহন সিং। পাঞ্জাবের ভোটারদের উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতেই মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ওই চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘ঘৃণাভাষণের জঘন্যতম পর্যায়ে নেমে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদিই হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি জনসভায় এমন জঘন্য ভাষা প্রয়োগ করেছেন। এইভাবে প্রধানমন্ত্রী পদেরও অবমাননা করেছেন তিনি।” তাঁর কথায়, নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করে লাগাতার আক্রমণ করছেন প্রধানমন্ত্রী- এমনটা ভারতে কখনও দেখা যায়নি। যেভাবে একাধিক বক্তৃতায় মনমোহনের কথা ব্যবহার করে আক্রমণ শানিয়েছেন মোদি , সেই বিষয়টিও চিঠিতে তুলে ধরেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, তিনি কখনই নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়কে আলাদা চোখে দেখেননি। এই আচরণে বিজেপির একচেটিয়া অধিকার। কেবল ঘৃণাভাষণ নয়, মোদি সরকারের আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও তোপ দেগেছেন মনমোহন। কৃষকদের দুরাবস্থা থেকে অগ্নিবীর প্রকল্প- উত্তরসূরির একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশপাশি ভারতে গণতন্ত্র বাঁচিয়ে রাখারও আর্জি জানিয়েছেন পাঞ্জাবের আমজনতার কাছে।
2. প্রচারের শেষ লগ্নে পদযাত্রায় ঝড় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কলকাতা দক্ষিণ ও যাদবপুরের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে গোপালনগর পর্যন্ত দীর্ঘ মিছিলে হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন সায়নী ঘোষ, মহুয়া মৈত্র, বাবুল সুপ্রিয়-সহ দলের একাধিক তারকা ব্যক্তিত্ব। পদযাত্রা শুরুর আগে এদিন ছোট একটি জনসভাও করেন মমতা। সেখান থেকেই নরেন্দ্র মোদির ধ্যান নিয়ে ফের তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ”৪৮ ঘণ্টার জন্য পাবলিসিটি স্টান্ট দেখাচ্ছেন।” মমতার প্রশ্ন, ক্যামেরা নিয়ে ধ্যান করার কী দরকার? তবে শুধু কটাক্ষই নয়, একশো দিনের কাজ নিয়ে এদিন বিজেপিকে একহাত নেন মমতা। সব ঠিক থাকলে বিজেপি যে এবার ক্ষমতায় ফিরছে না, সে ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। প্রচারের শেষ বেলায় দলের তরুণ ব্রিগেডকে সঙ্গে নিয়েই সে কথা জানিয়ে দিয়ে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।