ইডির তলবে সাড়া তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাজিরা সিজিও কমপ্লেক্সে। অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ আধিকারিকদের। জিতেন্দ্র, শুভেন্দুকে একযোগে নিশানা অভিষেকের। রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে থাকছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীই। কোচবিহারে লাগাতার অশান্তির জের। ভোটের মুখে বাড়ল নিশীথ প্রামাণিকের নিরাপত্তা। যে কোনও শর্তে জামিনের আরজি অনুব্রতর। প্রভাবশালী তত্ত্বে আবেদন খারিজ আদালতের। অশান্তির মাঝেই ইস্তফা-নাটক মণিপুরে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 জুন 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- পঞ্চায়েতের আগে নন্দীগ্রামের আইসি বদল, রাজনীতি যোগের দাবি ওড়াল শাসক দল
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি’র তলবে সাড়া দিলেন তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়ে জানালেন, তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকেরা।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরেই উঠে এসেছে সায়নীর নাম। কুন্তলের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করার জন্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। আর সেই কারণেই গত মঙ্গলবার সায়নী ঘোষের কাছে ইডি’র নোটিস পৌঁছয়। তারপর থেকে সায়নী ‘বেপাত্তা’ হয়ে গিয়েছেন বলেই দাবি করেছিল বিরোধীরা। যদিও বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সেই দাবি খারিজ করেন। তবে আদৌ সায়নী ইডি দপ্তরে হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল তাঁর দলও। তবে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এদিন হাসিমুখেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন সায়নী ঘোষ। সূত্রের খবর, তাঁকে গত ১০ বছরের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার পাতার প্রশ্নমালা সাজিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের দলে রয়েছেন মহিলা আধিকারিকও।
2. ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির পর পঞ্চায়েতের প্রচারে ফের জেলায় জেলায় ঘুরছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার আসানসোলের বারাবনির রোড শো থেকে বিজেপিকে কার্যত তুলোধোনা করলেন তিনি। আসানসোলের দাপুটে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে চোর বলে কটাক্ষ করলেন অভিষেক। একইসঙ্গে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী সলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। তাঁর প্রশ্ন, “নরেন্দ্র মোদি বলেন, তিনি চোর ধরবেন। কোথায় ধরছেন? তাহলে তো জিতেন্দ্র, শুভেন্দু সকলেরই জেলে থাকার কথা।” চোরদের আশ্রয় দিচ্ছে বিজেপি, নেতাদের খোঁচা দিয়ে দাবি অভিষেকের। অবশ্য অভিষেকের এই খোঁচার পালটা জবাবও দিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, “আমি যদি চোর হই, তাহলে আমি আসানসোল পুরসভার মেয়র থাকাকালীন তেমন অভিযোগ ওঠেনি কেন? আমার মেয়াদ শেষের পরও প্রশাসনিক বোর্ডের দায়িত্বে আমাকেই রাখা হল কেন?” তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার কারণেই তাঁর নামে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে, দাবি বিজেপি নেতার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।