মহারাষ্ট্রে মহানাটকে বড় চমক বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রী পদে একনাথ শিন্ডেই। শপথ নিয়ে মসনদে নয়া মুখ্যমন্ত্রী। শিন্ডের ডেপুটি হলেন ফড়ণবিস। মা সারদার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা। নির্মল মাজির মন্তব্যে ক্ষোভ বেলুড় মঠের। ‘এ ধরনের মন্তব্য অপ্রয়োজনীয়’, প্রতিক্রিয়া কুণালের। ফের সংঘাতে রাজ্য-রাজ্যপাল। আচার্য বিল সংশোধনী প্রক্রিয়ার মাঝেই উপাচার্য নিয়োগ রবীন্দ্রভারতীতে। রাজ্যপালের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তৃণমূল।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 জুন 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- দশ বছর পর জিটিএ নির্বাচন, পাহাড়ে ফুটল ঘাসফুল
আরও শুনুন: 28 জুন 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিকাশরঞ্জনকে তোপ মমতার, পালটা বাম নেতার
বিস্তারিত খবর:
1. মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে অভিষেক হল উদ্ধব-বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেরই। টানা কয়েকদিনের রাজনৈতিক নাটকে শেষ এবং বড় চমকটি দিল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্ট আস্থা ভোটের নির্দেশ বহাল রাখার পর বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তারপর বিজেপির ক্ষমতায় আসা যেন ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বিজেপি শিবিরে সেই উচ্ছ্বাসের ছাপ ছিল স্পষ্ট। এদিকে উদ্ধবের ইস্তফায় খুশি ছিল না শিন্ডে শিবিরের একাংশ। তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য ছিল, কংগ্রেস ও এনসিপি-র বিরোধিতা। উদ্ধবকে নয়, বরং এই পরিস্থিতির জন্য তাঁরা দায়ি করেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকেই। এর মধ্যেই সরকার গড়ার আরজি নিয়ে রাজভবনে পৌঁছন ফড়ণবিস ও শিন্ডে। অনুমান করা হচ্ছিল, মুখ্যমন্ত্রী পদে আবার বসবেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন শিন্ডে। তবে শেষমুহূর্তে ফড়ণবিস সকলকে চমকে দিয়ে জানান, তিনি নন, মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন একনাথ শিন্ডেই। সেই সঙ্গে আরও জানান, বালাসাহেব ঠাকরেকে শ্রদ্ধা জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই শপথ নিয়ে মহারষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কুরশিতে বসছেন শিন্ডে। শাহ-নাড্ডাদের কথায় উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে রাজি হলেন ফড়ণবিস। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আপাতত যবনিকা পড়ল মহারাষ্ট্রের মহানাটকে। তবে শেষবেলাতেও প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকলেন সেই বালাসাহেবই।
2. মা সারদার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা টানায় ক্ষুব্ধ বেলুড় মঠ। গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতা নির্মল মাজি দাবি করেছিলেন, ‘দিদিই মা সারদা!’ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছিলেন, মা সরাদা পরজন্মে কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মানুষরূপে জন্মগ্রহণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, যুক্ত হবেন সামাজিক কাজের সঙ্গে, করবেন রাজনৈতিক কাজকর্মও। এবার এই প্রসঙ্গেই বেলুড় মঠের সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ বললেন, ”সম্প্রতি এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মা সারদা সম্পর্কে যা মন্তব্য করেছেন, আমরা তাতে ব্যথিত। মা সারদাদেবীর সংস্পর্শে এসেছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অনেক সন্ন্যাসী ও বহু গৃহী। প্রতিষ্ঠানের যা কিছু বইপত্র, প্রামাণ্য নথি আছে, তাতে এরকম কিছু নেই যে তিনি পরবর্তীকালে দক্ষিণ কলকাতায় জন্ম নেবেন ও সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়বেন। তাহলে ওই রাজনৈতিক নেতা কেন এমন উদ্ভট তথ্য দিলেন প্রকাশ্যে, তা জানতে আমরা আগ্রহী।” ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ”এ ধরনের মন্তব্য তালজ্ঞানহীন, অবাঞ্ছিত, অপ্রয়োজনীয়।” তিনি আরও জানান, ”স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজের বক্তব্য আমরা সবিনয়ে গ্রহণ করেছি। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। পরিষ্কার বলছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নিজের আলোয় আলোকিত, তাঁর কাছাকাছি এই মুহূর্তে কেউ নেই। তাই এই তুলনা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ছিল। আমরা যাঁরা তাঁকে শ্রদ্ধা, সম্মান করি, তাঁদের উচিত সেই অনুভূতি নিয়ে এমন কিছু না বলা যাতে তাঁর নাম অযথা বিতর্কে জড়ায়।” এই বক্তব্য যে সামগ্রিক দলের নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েই মঠের সমস্ত ভক্তদের কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।