এখনও সঙ্কটেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আপাতত স্থিতিশীল তাঁর শারীরিক অবস্থা। প্রাক্তন সতীর্থের খোঁজ নিতে হাসপাতালে বিমান, সূর্যকান্ত। মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ ইন্ডিয়া-র প্রতিনিধিদের। বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে স্মারকলিপি জমা বিরোধীদের। চন্দ্রযানের পর নয়া সাফল্য ইসরোর। বাম-কংগ্রেস সমর্থনে ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত হবে বিজেপিরই। বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর। শহিদ স্মরণে এবার ‘মেরি মাটি মেরা দেশ’ প্রকল্প কেন্দ্রের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- রুজিরাকে বিমানবন্দরে আটকানোর জের, সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চাইল ইডি
বিস্তারিত খবর:
1. এখনও সংকটজনক অবস্থাতেই রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে আপাতত স্থিতিশীল তাঁর শারীরিক অবস্থা। মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনেই তাঁকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রবিবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, আংশিক আচ্ছন্নভাব কেটেছে বুদ্ধবাবুর। মাঝেমধ্যে চোখ খুলে দেখছেন। রাইলস টিউবের মাধ্যমে তাঁকে তরল খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফুসফুসে কতটা সংক্রমণ রয়েছে, তা জানতে সিটি স্ক্যান করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে যান সূর্যকান্ত মিশ্র। জানা গিয়েছে, তাঁর ডাকে সামান্য হাত নেড়ে সাড়াও দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বুদ্ধবাবুর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ড. কৌশিক চক্রবর্তী জানিয়েছে, সোমবার বুদ্ধবাবুর সিটি স্ক্যান করা হবে। হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যা নেই। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি ছিল। তাই ইনসুলিন দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে। ফুসসুসে সংক্রমণ থাকলেও হৃদযন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করার দরুন পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে চিকিৎসায় সামান্য সাড়া দিলেও এখনই তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত বলা যাবে না বলেই মত চিকিৎসকের। এদিন প্রাক্তন সতীর্থের খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বর্তমান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও হাসপাতালে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করছেন রাজ্যবাসী।
2. সফরের দ্বিতীয় দিনে মণিপুরের রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী জোট INDIA’র সাংসদরা। রবিবার তাঁর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা। জানা গিয়েছে,
ওই স্মারকলিপিতে মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ংকর থেকে ভয়ংকরতর হচ্ছে বলেই স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন সাংসদরা। এছাড়া দাবি করা হয়েছে, মণিপুরে ত্রাণ শিবিরগুলি অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকার কেবল চাল আর ডাল দিচ্ছে। ছোটদের খাওয়ার মতো কিছু নেই। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা অধীর চৌধুরীর কথায়, “আমরা রাজ্যপালকে মণিপুরের দুরবস্থার কথা জানিয়েছি। উনিও আমাদের সঙ্গে সহমত। রাজ্যপালও চান সরকার সবার সঙ্গে কথা বলুক। সব দলকে নিয়ে একটি প্রতিনিধিদল গড়ে মণিপুরে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন। এবং সব সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন।” কংগ্রেস নেতার কথায়, রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে রাজ্যপালের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে সংসদে যাতে দ্রুত তাঁদের অনাস্থা প্রস্তাবে আলোচনা হয়, সে দাবিও জানিয়েছেন বলেই দাবি কংগ্রেস লোকসভার দলনেতার। এদিকে, এদিন টুইট করে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বলে দেন, মণিপুরের সরকার নীরব থাকলেও ইন্ডিয়া জোট মণিপুরবাসীর পাশে রয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।