ইডি-র নজরে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বিপুল সম্পত্তি। অর্পিতার কসবার বাড়ির উপরে নজর কলকাতা পুরসভার। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে তৃণমূল। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে পথে বিজেপি। কমনওয়েলথ গেমসে দুটি পদক জয় ভারতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 জুলাই 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- এসএসসি মেধাতালিকার প্রত্যেককে চাকরির আশ্বাস অভিষেকের
বিস্তারিত খবর:
1. ইডি-র নজরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তি। ইডি সূত্রে খবর, শনিবার সকাল পর্যন্ত অর্পিতার মোট ৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। অর্পিতার পরিবার-পরিচিতদের আর্থিক লেনদেনের দিকেও নজর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। অর্পিতাকে জেরা করে তাঁর নামে থাকা মোট ৬টি সংস্থার খোঁজ পেয়েছে ইডি। রিয়েল এস্টেটের পর টেক্সটাইল সংস্থারও হদিশ মিলেছে বলে খবর। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ওই টেক্সটাইল সংস্থায় কাজে লাগানো হত বলেই মনে করা হচ্ছে। শান্তিনিকেতনের প্রান্তিকের ‘অপা’ নামের বাগানবাড়িটির দলিলও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে মালিক হিসাবে জ্বলজ্বল করছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম। দলিলে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১০ কাটারও বেশি জায়গার উপরে তৈরি ওই বাগানবাড়িটি। শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর ছেলে সুসিম বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেয়ে লোপামুদ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িটির মালিকানা হস্তান্তর হয় ২০১২ সালের জানুয়ারিতে। ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বাগানবাড়িটি কিনে নেন। তবে এই দশ বছরে আর নতুন করে মালিকানা বদল হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। জমির দলিলে পার্থ ও অর্পিতার সই ও ছবি দেখা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ওই বাড়িতে প্রায়শয়ই যাতায়াত করতেন পার্থ ও অর্পিতা। এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে শনিবারও দফায় দফায় জেরা করছে ইডি। এদিন বিকেলে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে ফের হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা। ফ্ল্যাটের ভিজিটরস বুক এবং সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখেন তাঁরা। অর্পিতা এবং পার্থের সম্পত্তির খোঁজে রাজ্যজুড়ে লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইডি। এখনও পর্যন্ত কলকাতা, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তাঁদের সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে।
2. পার্থঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। এবার তাঁর কসবার বাড়ি নিয়ে তদন্ত শুরু করল কলকাতা পুরসভাও। শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বয়ং ওই নির্দেশ দেন। সাফ জানিয়ে দেন, বেআইনিভাবে নির্মাণ হলে, তা সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে ফেলা হবে। কসবার রাজডাঙা মেন রোডের উপর তিনটি প্লট কেএমডিএ’র। কলকাতা পুরসভার নথি অনুযায়ী, এই তিনটি প্লটের নম্বর ১০, ১১, ১২। ১১ নম্বর প্লটে রয়েছে ‘ইচ্ছে’ নামের বাড়িটি। এটি মূলত একটি এন্টারটেনমেন্ট হাউস। বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের শুটিং ছাড়াও ভাড়া দেওয়া হতো নানা কাজে। ১০ এবং ১২ নং প্লটে বাড়ি থাকলেও পুরসভার নথিতে ফাঁকা জমি হিসেবেই চিহ্নিত আছে। ১১ নম্বর প্লটে ‘ইচ্ছে’ বাড়িটি ২ কাঠারও বেশি জমির উপর তৈরি। তার জন্য পুরসভায় প্রতি বছর কর হিসেবে ২,৩৫৬ টাকা জমা পড়ে। অথচ হিসেব বলছে, বাড়ি-সহ এই জায়গার প্রকৃত কর হওয়া উচিত ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকারও বেশি। ওই জমিটিতে অর্পিতা বিপুল অঙ্কের করফাঁকি দিয়েছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। ফিরহাদ এদিন জানান, তিনটি প্লটের খালি প্লটে নির্মাণ হয়ে থাকলে পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী নোটিস পাঠানো হবে, তারপর তা ভেঙে দেওয়া হবে। যেহেতু কেএমডিএ-র জমি সেটি, তাই কেএমডিএ-র তদন্ত রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কেএমডিএ ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।