অবসরের পরও স্বপদে বহাল। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পরামর্শ হাই কোর্টের। হেলে পড়া বহুতল ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পুলিশ-পুরকর্মীরা। আরজি কর দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে CBI। বাজেট অধিবেশনের আগে রীতি মেনে সর্বদল বৈঠক। একসুরে কেন্দ্রকে নিশানা বিরোধীদের। মদের বোতলে রাখতে হবে ক্যানসারের সতর্কীকরণ। জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল বম্বে হাই কোর্টে। ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে মার্কিন সেনার কপ্টারের ধাক্কা। মৃত অন্তত ১৮, বাড়তে পারে নিহতের সংখ্যা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তীকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পরামর্শ কলকাতা হাই কোর্টের। শুক্রবার বিকেল ৫টা অবধি ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন তাহলে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশিকাও জারি করতে হবে বলেই জানান প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
২০১৯ সালে ১ নভেম্বর, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তীর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু এরপরেও তিনি স্বপদে বহাল। এক্ষেত্রে সরকারের আগাম অনুমোদন প্রয়োজন হয়। জানা যাচ্ছে, রেজিস্ট্রার মানসের ক্ষেত্রে তা-ও দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও অবসরের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর কীভাবে স্বপদে বহাল রয়েছেন মানসবাবু, সে প্রশ্ন করেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মানসবাবুর রেজিস্ট্রার পদে আসীন থাকার কোনও অধিকার নেই।সে কারণে তাঁকে শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
2. ট্যাংরার হেলে পড়া বহুতল ভাঙতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ ও পুরকর্মীরা। ভিতর থেকে কোলাপসিবল গেট আটকে দেন বাসিন্দারা। অনেকেরই যুক্তি, তাঁরা বাড়ি ভাঙা সংক্রান্ত কোনও নোটিস পাননি। সকলেই জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন। কেউ আবার ৯০ শতাংশ পেমেন্ট করে ফেলেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, ফ্ল্যাট ভাঙা হলে তাঁরা কোথায় যাবেন। পুনর্বাসন না দিলে বাড়ি ভাঙতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা। আসলে, ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের হেলে পড়া বহুতল নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চর্চা চলছে। সেখানে পাশাপাশি দু’টি বাড়ি। একটি সবুজ, দ্বিতীয়টি সাদা। জানা যায়, পুর নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ছ’তলার সাদা বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু পাশের সবুজ বাড়িতে লোক থাকে। সবুজ বহুতলটি ভার সহ্য করতে না পেরে সাদা নির্মীয়মাণ বাড়িটির দিকে হেলে পড়ে। এরপরই পুরসভার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অবৈধ সাদা নির্মাণটিকে ভেঙে ফেলা হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে হেলে পড়া সবুজ বাড়িটি ভাঙতে যায় পুলিশ ও পুরকর্মীরা। এই নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।