রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন দেশজুড়ে হোক অকাল দীপাবলি। রোড শো থেকেই লোকসভার সুর বাঁধলেন প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে রাজ্যে শুরু ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচি। বাংলার পদ্ম-কর্মীদের জন্য চালু অযোধ্যাগামী বিশেষ ট্রেন। অস্ত্রোপচারের পর মমতাকে দেখতে কালীঘাটের বাড়িতে অভিষেক। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যেই টিকিট বণ্টনে তৎপর বঙ্গবিজেপি। দেশে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। খেলরত্ন-অর্জুন পুরস্কার ফেরালেন ভিনেশ ফোগত।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- দেশে ‘ইন্ডিয়া’, বাংলায় লড়বে তৃণমূলই, আসন জটের মাঝেই জানালেন মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন গোটা দেশজুড়ে পালিত হোক অকাল দীপাবলি। অযোধ্যা থেকে দেশবাসীকে এমনই অনুরোধ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব ঠিক থাকলে, আগামী ২২ জানুয়ারী রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা হবে। তার আগে অযোধ্যায় মোদির ১৫ কিলোমিটার রোড শো’র মধ্য দিয়েই কার্যত লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিল বিজেপি।
শনিবার রোড শো সেরে অযোধ্যায় নতুন রেল স্টেশন ও বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন মোদি। একইসঙ্গে উদ্বোধন হল বন্দে ভারত এবং অমৃত ভারত এক্সপ্রেস-সহ আটটি নতুন ট্রেনের। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা মনে করান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “৩০ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক দিন। ১৯৪৩ সালে এদিনই আন্দামানে প্রথম স্বাধীন ভারতের পতাকা তুলেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।” এরপরই, ২২ জানুয়ারি দেশজুড়ে ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “১৪০ কোটি দেশবাসীর কাছে অযোধ্যার মাটি থেকে প্রার্থনা করছি, ২২ জানুয়ারি যেদিন অযোধ্যায় প্রভু রাম বিরাজমান হবেন, নিজেদের ঘরেও রামজ্যোতি জ্বালান। দীপাবলি পালন করুন।” ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা যাওয়ার চেষ্টা না করে সকলে বাড়িতেই রামজ্যোতি জ্বালিয়ে উদযাপন করুন, এমনটাই চাইছেন তিনি। তাঁর আরও অনুরোধ, ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিন থেকে সব তীর্থস্থানে স্বচ্ছতা অভিযান চলুক। তাতে শামিল হোক প্রত্যেক ভারতবাসী। এভাবেই রামজন্মভূমিতে দাঁড়িয়ে আরও একবার কর্ম এবং ধর্মকে মিলিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুঝিয়ে দিলেন রামমন্দির তৈরি হলে শুধু ধর্ম নয়, সঙ্গী হবে উন্নয়নও।
2. রামমন্দির উদ্বোধনের আগে বাংলাতেও বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। আগামী ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ‘ঘর ঘর যাত্রা’। লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সারা দেশেই ধর্মীয় ভাবাবেগ তৈরি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। ঘর ঘর যাত্রার উদ্দেশ্যও আসলে তাই। জানা গিয়েছে, এই কর্মসূচিতে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি অযোধ্যায় যাওয়ার নিমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপর গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে অযোধ্যার রামমন্দির দর্শনে যাবেন বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীরা। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন থেকে অযোধ্যাগামী বিশেষ ট্রেনও চালাবে রেল। রাম মন্দিরকে সামনে রেখে বঙ্গ বিজেপির এই কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “বিজেপি নেতারা ঘরে ঘরে গেলেই তো মানুষ বলবে বাংলার বকেয়া টাকা দাও।” একইসঙ্গে বাংলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। রাজনৈতিক মহলও মনে করছে, রামমন্দিরের বিষয়টিকে ভোট প্রচারে কাজে লাগিয়ে হিন্দুত্বের হাওয়া তুলতে চাইছে পদ্ম শিবির।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।