কয়লাপাচার মামলায় ফের সমন অভিষেককে। শাহকে তোপ অভিষেকের। ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প নিয়ে বাংলার প্রশংসা নয়াদিল্লির। বিধায়ক বাঁচাতে রাজ্য ছেড়ে ছত্তীসগড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। টেট দুর্নীতি মামলায় লুকআউট নোটিস সত্ত্বেও বিধানসভাতে মানিক। বাসন্তী ও মালদহ বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ তদন্তের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।বাবরি ও গোধরা মামলায় দায়ের সমস্ত পিটিশন বন্ধের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- সরকার ফেলতে নেতাদের গ্রেপ্তারের চক্রান্ত বিজেপির, তোপ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যি হল সেই আশঙ্কাই। আগামী ২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ইডি-র দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে জেরা করতে দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি বিশেষ দল পাঠাচ্ছে বলেও খবর। কয়লা পাচারের যে ‘মানি ট্রেল’ বা আর্থিক লেনদেনের হদিশ ইডি পেয়েছে তা নিয়েই সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হতে পারে অভিষেককে। এই মামলায় অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকেও ফের তলব করেছে ইডি। দিল্লিতে ইডির দপ্তরে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর তার পরেই ইডি-র নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মেনকা। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। কয়লা পাচার মামলায় উচ্চ আদালতে কার্যত রক্ষাকবচ পেয়েছেন অভিষেকের শ্যালিকা। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, দিল্লি নয়, মেনকা গম্ভীরকে জেরা করতে হবে কলকাতায়। জেরা করলেও আপাতত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় ইডির কলকাতা অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হবে মেনকাকে। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। ইডি-র সমন নিয়ে এদিন বিজেপিকে তোপ দেগেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “অভিষেক বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠেছেন। এটা চক্রান্ত। ওঁকে এজেন্সির মাধ্যমে হেনস্তা করা হচ্ছে।”
2. কয়লা কাণ্ডে ইডি-র ডাকে ভয় পাচ্ছেন না অভিষেক। মঙ্গলবার টুইট করে সে কথাই কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি। একদিন আগেই ছেলের কীর্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিঁধেছিলেন তিনি। রবিবার দুবাইতে ভারত-পাক ম্যাচে রোহিত শর্মাদের জয়ের পর শাহপুত্র জাতীয় পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ তোলেন অভিষেক। জয় শাহের নিরপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার ফের শাহের প্রতি তোপ দাগলেন অভিষেক। সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর সাম্প্রতিক রেকর্ড। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের নিরাপদতম এবং সবথেকে সুরক্ষিত শহর কলকাতা। তালিকার শীর্ষে রাজধানী দিল্লি। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে কলকাতার থেকে ১৯ গুণ এগিয়ে দিল্লি। আর সেই পরিসংখ্যান নিয়েই এবার অমিত শাহকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পুলিশকে সামলাতে যে ব্যর্থ শাহর মন্ত্রক, তা এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিন টুইটারে অভিষেক লেখেন, “অমিত শাহর হাতে এখন জোড়া কাজ রয়েছে। প্রথমে নিজের ছেলেকে জাতীয়তাবাদ শেখানো এবং তারপর নিজের মন্ত্রকের পুলিশকে সামলানো। দিল্লির অপরাধের মাত্রা দেখলে বিস্মিত হতে হয়। ইডিকে পুতুলের মতো নাচানো বন্ধ করে তিনি বাংলার মডেল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।”
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।