আচমকাই অবসরের সিদ্ধান্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার জমা দেবেন পদত্যাগপত্র। তমলুক থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ার জোর জল্পনা। সন্দেশখালিতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম-কে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী হতে নারাজ পবন সিং। শেষবেলায় তৃণমূলকে জোটে টানার মরিয়া চেষ্টা কংগ্রেসের। ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টির জের, বন্যা পরিস্থিতি পাকিস্তানের ১০ জেলায়।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ১৯৫ আসনে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ বিজেপির, পুরনো কেন্দ্রেই মোদি-শাহ
আরও শুনুন: 1 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বঙ্গসফরে সন্দেশখালি নিয়ে সরব মোদি, প্রোটোকল মেনে সাক্ষাৎ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. রবিবার রাজ্য রাজনীতিতে বড় চমক। আচমকাই অবসর নেওয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতে আসতে পারেন বলেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। শোনা যাচ্ছে, আগামী ৭ মার্চ বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভামঞ্চ থেকেই বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি। নির্বাচনে তমলুক থেকেই তিনি প্রার্থী হচ্ছেন বলেই জোর জল্পনা। আগামী মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির হাতে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা। নিজের রাজনৈতিক অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ক্ষমতাসীন দলের নানা মামলায় আমার রায় পছন্দ না হলেই যেভাবে আমার বিরুদ্ধে আক্রমণ হয়েছে, আমাকে বলা হয়েছে, ময়দানে নামতে। তা ভেবেই আমি ময়দানে নামতে চাই।” এর পরেই রাজনৈতিক মহলে নয়া জল্পনা দানা বাঁধে। শোনা যায়, আগামী ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাতেই তিনি বিজেপি যোগ দেবেন। তমলুক থী বিজেপির হয়ে তাঁর ভোটে লড়ার কথাও শোনা যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগদানের ইঙ্গিতে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অন্য গুরুত্বপূর্ণ পেশা থেকে যদি কেউ রাজনীতিতে আসেন, তাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিতে তা স্বাস্থ্যকর বা ইতিবাচক।’ এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক ভাবেই সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও। তবে তাঁর বিজেপি যোগ বা ভোটে দাঁড়ানোর জল্পনায় আমল দিতে নারাজ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আপাতত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বঙ্গ রাজনৈতিকমহল।
2. কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। পুলিশের সঙ্গে প্রবল বচসা হয় ওই টিমের প্রতিনিধিদের। বেশ কিছুক্ষণ তর্কাতর্কির পর পুলিশকে মুচলেকা লিখে সন্দেশখালির পথে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ৬ সদস্য। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। সন্দেশখালির মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া ও নস্করপাড়ার রাসমন্দিরে যান ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। শোনেন অভাব অভিযোগ। থমথমে সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, বলেই অভিযোগ দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধি দলের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।